আরামবাগ

ওষুধের ফেলে দেওয়া খাম দিয়ে দুর্গা মূর্তি

আশ্চর্য সৃজনশীলতার সাক্ষী হলো আরামবাগের সালেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুর গ্রাম। সেখানকার এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে অন্বেষা সামন্ত গড়ে তুলেছে এক অন্যরকম দুর্গা প্রতিমা। প্রতিদিন তার বাবা নিয়ম করে ওষুধ খান। সেই ওষুধের খাপ বা ফাঁকা প্যাকেটগুলো সাধারণত ফেলে দেওয়া হতো। কিন্তু অন্বেষার চোখে সেগুলোই যেন হয়ে উঠল সৃষ্টির উপাদান। মাত্র দু’ইঞ্চির ছোট্ট প্রতিমা। তাতে ওষুধের খাপের টুকরো উপর রং তুলির আভায় ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গা। শুধু তাই নয়, এক টাকার কয়েনের উপর ফুটিয়ে তুলেছে মায়ের ছবি। সেই ক্ষুদ্র আকারের প্রতিমার চারপাশে রয়েছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতীও। অতি সামান্য উপকরণে গড়া হলেও এর মধ্যেই ধরা পড়েছে অন্বেষার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর ভক্তি।

অন্বেষা হাসিমুখে জানায়,

বাবা প্রতিদিন ওষুধ খায়। খাপগুলো ফেলে দেওয়া হতো। ভাবলাম এগুলো দিয়েই যদি কিছু তৈরি করি! হয়তো খুব সুন্দর হয়নি, তবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে একদিন হয়তো ভালো কিছু করতে পারব।

ভক্তি, শিল্প আর সৃষ্টিশীলতার মেলবন্ধনে ছোট্ট গ্রামীণ মেয়ের এই কাজ যেন বলে দেয় ।দুর্গা কেবল মণ্ডপের অলঙ্কার নয়, তিনি লুকিয়ে আছেন প্রতিটি সৃজনশীলতায়, প্রতিটি স্বপ্নে, প্রতিটি ভালোবাসায়।

প্রীতম পালের রিপোর্ট আরামবাগ

Loading

Leave a Reply