নিজস্ব প্রতিনিধি ,মালদা: পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরপুর গ্রামে দুর্গাপূজা মানেই শুধু উৎসব নয়, বিশ্বাস ও অলৌকিকতার এক জীবন্ত কাহিনি। প্রায় পনেরো বছর আগে একদিন নদীতে স্নান করতে গিয়ে ছোট্ট মিঠুন শীল হাতে পায় এক রহস্যময় ত্রিশূল। সেই ত্রিশূল নিয়ে আসার পরেই বদলে যায় তার জীবন, বদলে যায় গ্রামের ইতিহাসও।
কিছুদিনের মধ্যেই স্বপ্নে মা দুর্গা আদেশ দেন পূজা করার জন্য। মা’য়ের সেই নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে মান্য করে মিঠুনের মা আশা শীলের উদ্যোগেই শুরু হয় নজরপুরের দুর্গাপূজা। এরপর থেকে বছর ঘুরলেই ত্রিশূলের অলৌকিক শক্তিকে সামনে রেখে জাঁকজমক আর ভক্তিভরে অনুষ্ঠিত হয় পূজা। আজও সেই ত্রিশূল শীল পরিবারের ঘরে সযত্নে রক্ষিত, যেন এক আধ্যাত্মিক সাক্ষী।
গ্রামবাসীর বিশ্বাস, দেবীর আশীর্বাদেই টানা ১৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে এই পূজা। দুর্গাপূজার সময় নজরপুরে যেন নেমে আসে অন্য এক আবহ—ভক্তদের ভিড়, ধূপ-ধুনোর গন্ধ আর মায়ের বন্দনায় ভরে ওঠে চারদিক।
গ্রামের প্রবীণরা আবেগ নিয়ে বলেন, “এই পূজা শুধু ধর্ম নয়, আমাদের প্রাণের ঐতিহ্য। স্বপ্নাদেশে শুরু হওয়া এই যাত্রা আজ গ্রামকে এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক শক্তিতে বেঁধে রেখেছে।”
নজরপুরের এই দুর্গাপূজা তাই আজ শুধু পূজা নয়, বিশ্বাসের প্রতীক, অলৌকিকতার অনন্ত আলো।
![]()



