দেশ

ফের টিকটকের বলি ১, বন্দুক হাতে নিজের মাথাতেই গুলি চালাল কিশোর।

উত্তরপ্রদেশের বরেলির হাফিজগঞ্জে, অখ্যাত মুদিয়া ভিকামপুর গ্রামে বারো ক্লাসের ছাত্র কেশব কুমার সোমবার বিকেলে কলেজ থেকে ফিরে টিকটক ভিডিয়ো শ্যুট করার তোড়জোড় শুরু করেন। মা সাবিত্রী দেবীর কাছে এ জন্য লাইসেন্সড পিস্তল চান কেশব। প্রথম দিতে অস্বীকার করলেও, বারবার ছেলের পীড়াপীড়িতে সেই লোডেড পিস্তল ছেলের হাতে তুলে দেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ওই ঘটনা। পুলিশকে সাবিত্রী দেবী বলেন, ‘ছেলের হাতে পিস্তল দিয়ে, আমি রান্না ঘরে চলে গিয়েছিলাম। ঘরকন্নার কাজ করতে করতে কানে আসে গুলির শব্দ। ছুটে এসে ঘরের দরজা খুলতেই দেখি, ছেলে মেঝেতে পড়ে। ঘরময় রক্ত ভেসে যাচ্ছে।’

ওই অবস্থায় বরেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিত্‍‌সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত কেশবের বাবা সেনায় চাকরি করেন। টিকটক ভিডিয়োর সময় সেনার বেশে শ্যুট করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেসময় কোনও ভাবে ট্রিগারে চাপ পড়তেই, গুলি ছিটকে মাথায় লাগে। ঘরের এক দেওয়ালেও রাইফেল কাঁধে কেশবের ছবি ঝুলছে।

কেশবের বাবা বীরেন্দ্র কর্মসূত্রে এখন রুরকিতে রয়েছেন। নিহত ওই তরুণের মা জানান, টিকটক ভিডিয়ো শ্যুট করে, ছেলে ঘনঘন প্রোফাইল পিকচার পালটাচ্ছিল। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও ছবি দিচ্ছিল। পুলিশের জিগ্যাসাবাদে তিনি জানান, পিস্তলটি যে লোডেড ছিল, সেসম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। গুলি ভরা রয়েছে জানলে, কখনোই তা তিনি ছেলের হাতে দিতেন না।

নিহতের পরিবার মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করাতে অস্বীকার করে। কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, পিস্তলটি সাবিত্রী দেবীর নামে লাইসেন্স রয়েছে। এটি নিছকই দুর্ঘটনা কি না, পুলিশ তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যোগির রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Loading

Leave a Reply