রাজ্য

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে নিয়ে আতঙ্কিত বিদগ্ধজন-দের বড় অংশ।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভাপতির পদে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত আদৌ থাকবেন কিনা তা নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে। এই অবস্থাতে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন তিনি। পরিস্থিতি এমনটাই যে অনেকেই একান্ত আলাপচারিতায় বলছেন সভাপতিকে নিয়ে কোথাও কোথাও তাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এনআরসি নিয়ে কিছুদিন আগে ‘কুকুরের মত গুলি ‘করে মারার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন দিলীপ বাবু। তারপর একটি সভায় তিনি মন্তব্য করেন “দেশদ্রোহীদের সবথেকে বড় গড় এই বাংলা”।

পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি যেভাবে বাঙালিকে অপমান করলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। অনেকেই বলছেন পরাধীন ভারতে আরএসএস নেতাদের কি ভূমিকা ছিল তা দীলিপবাবু জানেন না। যদি জানেন তাহলে তার উচিত একটি তালিকা দেওয়া। তাহলে বোঝা যাবে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধে দীলিপবাবুর দল কোথায় ছিল। অথচ সেই দীলিপবাবু দেশপ্রেমের ধুয়ো তুলে একের পর এক ভাবে বাঙালিকে অপমান করে চলেছেন। অনেকে অবশ্য বলছেন শুধু বাঙালিকে কেন দীলিপবাবু নিজের দলের প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করতে ছারছেন না। কয়েকদিন আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি নাতিদীর্ঘ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া 38 হাজার কোটি টাকার ফাইল দেখাতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও সিপিএম নেতা মোহম্মদ সেলিম বলেন মুখ্যমন্ত্রী হাতে তো কোন ফাইলে ছিলনা। তাহলে উনি কিভাবে ফাইল দেখাতে গেলেন। প্রায় বাম নেতাদের শুরে কথা বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন। এই নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকে বলছেন দীলিপবাবুর কথাতেই পরিস্কার প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে আড্ডা দিতে এসেছিলেন। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের একের পর এক মন্তব্য রাজ্যের সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের ও অস্বস্তি তৈরি করেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সাথে বিতর্কে জড়ান দিলীপবাবু। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার মহা বিতর্কিত মন্তব্য করার পরেও দিলীপ বাবুকে কোন করা বার্তা উচ্চ নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দীলিপবাবুর এ ধরনের মন্তব্য কে সমর্থন করছেন বিজেপি উচ্চ নেতৃত্ব। বিদগ্ধজনেরা বলছেন তা যদি হয় তাহলে তা হবে রাজ্যের জন্য ভয়ঙ্কর।

Loading

Leave a Reply