দেশ

১৮ ঘণ্টা বরফ চাপা থাকার পরেও প্রাণরক্ষা, ‘মীরাকেল’ কাশ্মীরে

 কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে। এই কথার ফের প্রমাণ হলো কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে। কনকনে ঠাণ্ডা রাতে মায়ের সঙ্গে বসে আগুন পোহাচ্ছিল বছর বারোর সামিনা বিবি। বাইরে ক্রমাগত বরফ পড়ছে। কিন্তু আচমকা কিছু একটা ভেঙে পড়ার শব্দ চোখের পলকে ভয়াবহ তুষারধসে চাপা পড়ে যায় আস্ত একটি তিনতলা বাড়ি।

উদ্ধারকারীরা ছুটে আসতে বেশি দেরি করেননি। সামিনার মা এবং তার ভাই আহমেদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের খোঁজে পাগলের মতো দৌড়াদৌড়ি করছিলেন শাহনাজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই বরফের নীচে থেকে বের করে আনা হয় আর এক ছেলে আর এক মেয়ের নিথর দেহ। চোখের সামনে দুই সন্তানের দেহ দেখে আর এক মেয়েকে উদ্ধারের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মা। কিন্তু ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় সামিনাকে। তার পা ভেঙেছে, ঠোঁট দিয়ে গড়িয়ে পড়েছে রক্ত, কিন্তু তার চোট প্রাণঘাতী নয়। এই অবস্থাতে সামিনার জীবন ফিরে পাওয়া মীরাক্কেল ছাড়া কিছুই নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরবাদ এ কয়েকদিন ধরেই সেখানে বেশ কয়েকটি তুষারধসে ঘটনা ঘটেছে তাই গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে শক্তপোক্ত তিনতলা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সামিনার পরিবারও। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি তুষারধসে প্রাণ গিয়েছে সেখানে আশ্রয় নেওয়া 18 জনের যদিও ওই অবস্থা থেকেও বেঁচে আসার চিকিৎসা চলছে হাসপাতলে

Loading

Leave a Reply