রাজ্য

বিধানসভাতেও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত নাগরিকত্ব আইন-বিরোধী- প্রস্তাব

কেরল, রাজস্থান, পাঞ্জাবের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও সর্বসম্মতিক্রমে বিধানসভায় গৃহীত হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন- বিরোধী প্রস্তাব। বিধানসভার সওয়ালে বাম ও কংগ্রেস বিধায়করাও এক জোট হয়ে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবে সায় দেয়। তবে সায় দিলেও ভোটাভুটিতে অংশ নেননি বিধায়করা। বামপন্থী এবং কংগ্রেস বিধায়করা কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেয় এই প্রস্তাবে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি।

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনতে রাজি সরকার। সেই মতই সোমবার রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন এই আইনের পর দেশের মানুষ বিপন্ন, বিপন্ন দেশ। তাই এই প্রস্তাব আনা হল। বৈধ ভারতীয় নাগরিকরা সমস্যায় পড়েছেন, অবিলম্বে সিএএ এবং এন পি আর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। শেষ মেষ ধনী ভোটে পাস হয়ে যায় এই বিল। গত ৬ই সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছিল রাজ্য বিধানসভা। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল এনআরসি তৈরীর নামে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি চালু করা যাবে না। সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বিধানসভায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা কোনও নাগরিক এর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু এই আইনে তার কোনও উল্লেখ নেই। যা নাগরিকদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তাই রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে সিএএ বাতিল এবং এন পি আর, এনআরসি প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে সিএএর সাহায্যে কেন্দ্রের শাসকদল ধর্মের নামে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। মানবাধিকারকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে বলে। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কেরল, রাজস্থান, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধিতা করায় কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

Loading

Leave a Reply