জেলা

যুগলকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তের মৃত্যু শ্রীঘরে, উত্তপ্ত বনগাঁ।

বনগাঁয় যুগলকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দমদম সেন্ট্রাল জেলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আধিকারিকরা ওই যুবকের বাড়িতে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্বে আসে পরিস্থিতি। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। এদিন রাতে বনগাঁ থানার মণিগ্রাম শিবপুর বটতলা এলাকায় একটি পাটকাঠির গাদায় দাউদাউ করতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন নেভানোর পর গাদা থেকে উদ্ধার হয় এলাকার বাসিন্দা তপতী মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ বৈদ্যের দেহ।

ঘটনার তদন্তে নেমে প্রসেনজিৎ প্রামাণিক, পঞ্চানন মণ্ডল ও ভীম মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায় যে, তপতী মণ্ডলের সঙ্গে এলাকার একাধিক যুবকের সম্পর্ক ছিল।  কিন্তু ৩ পুরনো প্রেমিককে ছেড়ে ওই মহিলা প্রসেনজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াতেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে বাকিদের। সেই রাগের বশেই তপতীকে খুন করে পুড়িয়ে দেয় ৩ অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাটে শেষ করে দেওয়া হয় প্রসেনজিতকে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় মামলা। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ঠাঁই হয় ৩ অভিযুক্তের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত ভীম মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের জানানো হয় যে, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই খবর গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় নথিতে সই করাতে বৃহস্পতিবার পুলিশ ভীম মণ্ডলের বাড়িতে যেতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। কোনওক্রমে গ্রাম থেকে বের হন আধিকারিকরা। তাঁদের অভিযোগ, জেলে পুলিশের অত্যাচারের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ভীমের। এবিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আমরা আসছি…….

Loading

Leave a Reply