দেশ

অবিরাম তুষারপাতের মধ্যে ৪ কিমি বরফ ঢাকা রাস্তা হেঁটে বিয়ের পিঁড়িতে বর

‘সাত সাগরের পাড়ে আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’। হ্যাঁ সেই রাজকন্যার টানে মনে মনে সাত সমুদ্র পাড় করতেও প্রস্তুত প্রেমিক। হিন্দিতে একটা কাহাবত আছে ও প্যায়ার, প্যায়ার নেহি জিসমে জং নেহি হে। এবার সেই কাহাবতকে সত্য প্রমাণ করতেই যেন জং জেতা। প্রেমিকার টানে সেই কঠিন সফর অনায়াসে জয় করলেন বর। চার কিলোমিটার তুষারাবৃত পাহাড় টপকে বিয়ের আসরে পৌঁছেছেন। তারপরেই চার হাত এক হয়েছে। এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে অবিরাম তুষারপাত। বসন্ত পঞ্চমী তে উত্তরাখণ্ডের চামৌলি বিজরা গ্রামের বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে লুনতারা গ্রামের এক কিশোরীর বিয়ে ঠিক হয়। খুব ভালো একটি দিনে বিবাহ উৎসবকে ঘিরে দুই পরিবারেই একটা আলাদা উন্মাদনা ছিল।

কিন্তু বিয়ের একদিন আগে থেকেই অবিরাম তুষারপাত দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে দুই পরিবারের সদস্যদের। বরফে ঢেকে যায় রাস্তা। গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে বিয়ে কীভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সকলেই ছিলেন চিন্তিত। নির্দিষ্ট লগ্নে না পৌঁছালে যে সব ভেস্তে যাবে। তাই মুশকিল আসানে নিজেই আসরে নামলেন পাত্র। এটাই হয়তো ভালোবাসার টান। শেরওয়ানি পড়ে বরের সাজে মাথায় ছাতা নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন। তার সঙ্গেই হাঁটা শুরু করল বরযাত্রীর দল। ৪ কিলোমিটারের বেশি বরফ ঢাকা রাস্তা পেরিয়ে তারা লুনতারা গ্রামে পৌঁছন। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে সেই বিবাহ অভিযান এর ছবি। তাতে দেখা গিয়েছে হাসিমুখে মাথায় ছাতা নিয়ে হাঁটছেন আর নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই বিবাহ বাসরে পৌঁছে যান। তা দেখেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কনেপক্ষ। এটা যেন এক কঠিন যুদ্ধ জয়ের ছবি। পাত্র পাত্রীর এই অবিরাম ভালোবাসার সাক্ষী থাকল প্রকৃতির এক মনোরম সৃষ্টি তুষারপাত।

আমরা আসছি…….

Loading

Leave a Reply