স্বাস্থ্য

শরীর সুস্থ রাখতে চান, মেনে চলুন ডায়েটিংয়ের সাধারণ কিছু নিয়মাবলী

ডায়েট করছেন? বন্ধুদের কথা মতো, একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে, ডায়েট শুরু করে দিয়েছেন? তাহলে নিজের শরীরের জন্য মারাত্মক ভুল করছেন। ভুঁড়িতে একটু মেদ জমলেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। এটা খাব না, ওটা খাব না, এখন খাব না তখন খাব না। এই সমস্ত প্রক্রিয়ায় ডায়েট শুরু করে দিচ্ছেন। ওজন কমাতে খাওয়া-দাওয়ায় ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মানেই সর্বদা খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ। তবে ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই কিছু ভুল ধারণা নিয়ে ফেলেন। যা আপনার শরীরে ভালোর জায়গায় খারাপ হচ্ছে।

এমনটাই বলছেন ডায়েটিশিয়ানরা। তারা বলছেন ওজন কমাতে গেলে না খেয়ে থাকার কোন দরকারই নেই। বরং টাইমে না খেলে বাড়িয়ে দেয় মোটা হওয়ার সম্ভাবনা। এর ফলে আপনার হজমে সমস্যা দেখা দেবে। যখন তখন খাবার বন্ধের ফলে শরীরে বি এম আর কমে যায়। যার ফলে মোটা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন ফল আর জল খেয়ে ডায়েট করা ঠিক নয়। বরং নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর সমস্ত খাবার খেয়ে ডায়েট করুন। এতে শরীরের ক্ষতি হবে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে রোগা-মোটা সবার ক্ষেত্রেই জাংক ফুড এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়। পেটে খিদে রেখে ডায়েট করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। রোজকার স্বাভাবিক খাবার খেয়ে ডায়েট করা শ্রেয়। ছোট থেকে যে খাবার খেয়ে বড় হয়েছেন সে রকম খাবার খেলেই স্বাভাবিক ডায়েট করা যায়।ডায়েটিংয়ের সাধারন কিছু নিয়মাবলী


১. ব্রেকফাস্টে পুষ্টিকর হেলদি খাবার খান।
২. দু-তিন ঘন্টা অন্তর খাবার খাওয়া উচিত।
৩. ভাত ডাল তরকারি পরিমাণ মত খান।
৪. খিদে কমাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।
৫. খাবারের তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখুন যাতে বারবার খিদে না পায়।
৬. ব্রেকফাস্টে আটার রুটি তরকারি ভীষণ ভালো।
৭. শরীরচর্চা অবশ্যই করতে হবে।

Loading

Leave a Reply