জেলা

প্লাস্টিক জমা দিলেই পড়ুয়াদের খাওয়ানো হবে কফি-সিঙারা, দূষণ রোধে অভিনব উদ্যোগ হাওড়া পুরসভার

হাওড়া শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে এবার নয়া পদক্ষেপ নিল পুরসভা। জানা গেছে, পড়ুয়ারা স্কুলে প্লাস্টিক জমা দিলে হাতে পাবে কফি বা সিঙারা। আর যদি কোনও বাজার বা শপিং মলে প্লাস্টিক জমা দেয়, তাহলে মিলবে কাপড়ের সুন্দর ব্যাগ। ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আর্থিক সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই হাওড়ার নর্থ-ওয়েস্ট বাইপাসের পাশে টিকিয়াপাড়া স্বচ্ছতা কেন্দ্র তৈরি করেছে পৌরসভা। সেখানে উদ্ধার করা বজ্র প্লাস্টিকগুলিকে দিয়ে মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হবে চেয়ার, টেবিল প্রস্তুতের উপাদান। হাওড়া ইউএনডিপির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিক্রম বসাক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মেশিনের মাধ্যমে বজ্র প্লাস্টিকগুলিকে প্রক্রিয়াকরণ করে টেবিল চেয়ার সহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী তৈরি করা হবে এবং সেই সমস্ত জিনিসগুলো বিক্রি করে পাওয়া অর্থ থেকেই এই কাজের জন্য নিয়োজিত কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে আমরা কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রথমে বেলিলিয়াস লেনের একটি স্কুলে ওয়েস্ট কাফে চালু করা হবে। সেখানেই পড়ুয়াদেরকে উৎসাহিত করা হবে বজ্র প্লাস্টিকগুলি এনে জমা দেওয়ার জন্য। প্লাস্টিক জমা দিলেই মিলবে কফি বা সিঙারা। আবার কয়েকটি শপিংমল ও বাজারেও বসানো হবে ওয়েস্ট কাফে। সেখানেও প্লাস্টিকের ব্যাগ জমা দিলে মিলবে নতুন কোনও সুন্দর কাপড়ের ব্যাগ।

পুরসভার নিকাশি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, বর্জ্য প্লাস্টিক জমে গিয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তার সাথে সাথে ড্রেনে প্লাস্টিক জমে নিকাশি ব্যাবস্থায় সমস্যা হয়। প্রতি বছর বর্ষায় জমা জলের সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে। এমনকী প্লাস্টিক ভীষণভাবে মানুষের ক্ষতি করে। বর্তমানে সমগ্র এলাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিক ব্যাগ। বারবার অভিযান চালিয়েও কোনও ফল মেলেনি। ফলে পরিবেশকে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্যই এরকম অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা।

হাওড়া পুরো কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাস্তা থেকে আবর্জনা হঠাৎ ইতিমধ্যেই মডেল হিসেবে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কঠিন বজ্র ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করা হয়েছে। বাইপাসের দুটি স্বচ্ছ কেন্দ্র বসানো হচ্ছে। যে মেশিনগুলোতে জন্য দুটি সিফ্টে ১০ টন করে প্লাস্টিক জোগান দিতে হবে। আর সেই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হবে প্লাস্টিকের টেবিল চেয়ার সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। তিনি আরো জানান, বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে যেমন পৌরসভা সাফ করা যাবে, ঠিক তেমনই প্লাস্টিকের জিনিস তৈরির জন্য কর্মসংস্থান হবে। প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্য আরও কিছু নয়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যার মাধ্যমে শহরে প্লাস্টিকের বর্জ্য এবং প্লাস্টিকের দূষণ দুটোই কমবে।

Loading

Leave a Reply