জেলা

বেহাল দশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের, অবাধে চলছে মদ গাঁজা ও জুয়ার আসর বলে অভিযোগ।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে দান করা জমিতে উপস্বাস্থ্য গড়ে উঠলেও চিকিৎসা পরিষেবা শিকেয়।অসামাজিক কাজকর্মের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে ভদ্রেশ্বর বিঘাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে এলাকার জমিদার হরিচরণ দাস মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৩ বিঘা জমি দান করেছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরকে। প্রথম প্রথম এলাকার মানুষেরা পরিষেবা পেলেও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ট্রাষ্টি বোর্ড গঠন করে চলছিল চিকিৎসা পরিষেবার কাজ। কিন্তু বেশিদিন অবশ্য তা টেকে নি। আবার বন্ধ ছিল বিঘাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দেওয়ার কাজ। অবশেষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাতে নিয়ে সামান্য কাজ শুরু করেছে, যেটা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবি নিম্নমুখি বলে অভিযোগ । নাম দেওয়া হয়েছে বিঘাটি আঞ্চলিক হেলথ সেন্টার।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিনের পর দিন এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে অসামাজিক কাজকর্ম।

মদ গাজা জুয়ার আড্ডা নিত্য দিনের ঘটনা। বাসিন্দাদের দাবি এই এলাকায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে যেতে হয় সিঙ্গুর, শ্রীরামপুর অথবা চন্দননগর হাসপাতালে। যেটা অনেকটাই দুরে।

অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অসীম কুমার কারক জানান, দিল্লি রোডের কাছে এবং এলাকার বহু মানুষের জন্য এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার জন্য খুব চেষ্টা করা হচ্ছে।

Loading

Leave a Reply