দেশ

বাঁধা গতের বাইরে গিয়ে স্কুলে নো ব্যাগ ডে পালন

বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে কোথাও যেন আমরা শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিশু হাঁটতে শিখলেই তাদের রেসে র ঘোড়ার মতোই প্রতিযোগিতার এই বাজারে নামিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। শিশুদের নিজস্ব বিকাশ বোধহয় এখন ওই হামাগুড়ি পর্যন্তই। শিশু হাঁটতে শিখলেই বাড়ছে তাদের বোঝা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুদের ভর্তি করে দেওয়া হচ্ছে স্কুলে। যে বয়সে হয়তো ওই শিশুর চারিদিক না খেয়ে বেড়ানো, খেলে বেড়ানো, ছুটে বেড়ানোই স্বাভাবিক। মাঠে ময়দানে ধুলো নিয়ে খেলার বয়স।

সেই বয়সেই তাদের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বইয়ের বোঝা। মানসিক বিকাশ হওয়ার আগেই বাধ্যতামূলকভাবে বাঁধা গতের পড়াশোনায় অভ্যস্ত করে তোলা হচ্ছে শিশুদের। এ নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু এই বাঁধাকপির বাইরে বেরিয়ে আসার সাহস দেখিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরের স্কুল গুলি। সম্প্রতি জয়পুরের সমস্ত সরকারি বিদ্যালয় শনিবার দিনটিতে নো ব্যাগ ডে হিসেবে পালন করা হচ্ছে। অর্থাৎ ওই দিন ছাত্রছাত্রীদের কাঁধে কোনও ভারী ব্যাগের বোঝা থাকবে না। ওইদিন বইয়ের ভারী ব্যাগপত্র ছাড়াই স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। শনিবারের ওই বিশেষ দিনে স্কুলে শুধু গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা কিংবা বাচ্চাদের সেইসব করতে ইচ্ছা না করলে শুধু খেলেই বেড়াবে তারা। শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে ও শারীরিক বিকাশের লক্ষ্যে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষামহল।

Loading

Leave a Reply