জেলা

জেলার সর্ববৃহৎ ৭০০ বেডের হাসপাতাল যেন ভুতুরে বাড়ি।

বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো চুঁচুড়া ইমামবারা সদর হাসপাতাল, ব্রিটিশ জামানায় ১৮৩৫ সালে মানুষের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল দানবীর মহসিন তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে এই হাসপাতাল ৭০০+ বেড সম্বলিত, জেলার সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এতদিন ধরে ইন্ডোর – আউটডোর উভয় বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলছে এই সদর হাসপাতাল। রুগীদের চাপ সহ্য করতে নাভিশ্বাস ওঠে এখানকার স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের, বেড না পেয়ে হাহাকারে ক্ষোভে ফেটে পরে মানুষ, সৃষ্টি হয় উত্তেজনারও। সেই হাসপাতাল এখন রোগীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

শুন্য শয়ে শয়ে বেড, নেই কোনো জনকোলাহল। করোনা ও লকডাউনের জেরে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো সদর হাসপাতাল। হাতে গোনা কয়েকটি রুগী রয়েছে ইন্ডোর বিভাগে, আউটডোর বিভাগ শুনশান চেহারা নিয়েছে। হারিয়ে গেছে রুগী, উবে গেছে রোগ…. দেখে মনেই হচ্ছেনা এটা জেলার সর্ব বৃহৎ সদর হাসপাতাল। হাতে গোনা যে ৫টি রুগী রয়েছে, তাদের পরিবার পড়েছে মহা সমস্যায়, কারণ বাইরে কোথাও মিলছেনা খাবার, রুগীর খাবার ভাগ করে খাচ্ছে পরিবারের লোক। তারথেকেও বড় সমস্যা, রুগী কে নিয়ে থেকে গিয়ে এখন বাড়ি ফিরবে কি ভাবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না, কারণ সমস্ত রখম যানবাহন বন্ধের কারণে। নিঝুম নগরীতে বাস করছে কয়েকটি রুগী ও তার পরিবার। রুগী থেকে তার পরিবার সকলেই দাবি, তাদের বাড়ি ফিরে যাবার ব্যাবস্থা করে দিক সরকার।

Loading

Leave a Reply