ফিচার

লকডাউনে বাচ্চা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন? এখনই প্রয়োগ করুন এই টোটকা।

বাড়িতে বসে থেকে থেকে আপনার বাচ্চা একাকীত্ব বোধ করছে

বাড়িতে বসে থেকে থেকে আপনার বাচ্চা একাকীত্ব বোধ করছে, অত্যন্ত বোর হচ্ছে, স্কুলে ছুটি এবং বাচ্চারা কোথাও বেরোতে পারছে না, তাই অস্থির হয়ে উঠছে। সারাদিন কার্টুনের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠছে। আপনি সারাদিন বাড়ির কাজে ব্যস্ত, কাজের লোক না আসার দরুন, তাছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত। তাই বাচ্চাকে আপনি কিভাবে সংযত রাখবেন, ধৈর্য্যের মধ্যে রাখবেন? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিন তার বিশেষ উপায়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত আপনার বাচ্চার রুটিন জেনে নিন। যা করলে তাকে ধৈর্যশীল করতে পারবেন অাপনি। প্রথমত, বাচ্চার উপর কোন ভাবেই আপনি রেগে যাবেন না। ভীষণভাবে অস্থির করলে তাকে শান্ত ভাবে বোঝান। দরকার পড়লে পছন্দসই স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার করে দিন। বাচ্চাকে ধৈর্যশীল করতে গেলে আপনাকে সবার প্রথম ধৈর্য ধরতে হবে। তাকে কখনোই অনউৎসাহিত করবেন না।

বাচ্চা সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় তাকে গুরুত্ব দিয়ে আদর করে ঘুম থেকে ওঠান। এরপর তাকে ব্রাশ করে ফ্রেশ করিয়ে এক গ্লাস জল বা শরবত খাইয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিটের জন্য মেডিটেশনে বসান। তারপরে তাকে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত করুন। নিজের ধৈর্য্য কখনোই হারাবেন না। অল্প কিছু পড়ান, তার সাথে সে পছন্দ করে বা আগ্রহ জন্মায় এমন কিছু পড়াশোনা সেখান। তাকে কখনই জোর করবেন না। এতে হিতে বিপরিত হতে পারে। দরকার পড়লে অল্প বয়সি বাচ্চাদের জন্য আপনি বিভিন্ন রকম ছবি এঁকে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। তারপরে তাকে পেট ভর্তি খাবার দিন। পরের সময়টা সে টিভি দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে আপনার যদি মনে হয় অল্প কিছুক্ষণের জন্য তা দেওয়া উচিত তবে তা দিন। না হলে তাকে বিভিন্ন রকম ছবি আঁকতে দিন বা বাচ্চাদের গল্প বই পড়ে শোনান। অথবা আপনি অল্প কিছু কাগজ দিয়ে তাকে কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস বানাতে দিন। সে যাই বানাক না কেন তাকে উৎসাহ দিন।

দুপুরের আহারের পরে অল্প কিছুক্ষণ ঘুমাতে দিন। খাওয়া-দাওয়া যেভাবে স্বাস্থ্য সম্পন্ন করাবেন, তার সাথে অবশ্যই দিনে অল্প কিছু ফল দেবেন। কিন্তু তা ভর্তি পেটে। করোনার জেরে বাজার থেকে ফল কিনে এনে সেই ফল অবশ্যই ঘন্টা খানেকের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখুন। অথবা উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে দিন। বেশি করে জল পান করান। ঘুম থেকে ওঠার পর বাচ্চার সাথে বিভিন্ন ফ্রি হ্যান্ড ব্যাম করুন। তাতে অাপনার এবং বাচ্চার শরীর ভালো থাকবে। সন্ধ্যের দিকে অল্প কিছু পড়ানোর পরে তার সাথে ইনডোর প্লে করুন। কাটাকুটি, লুডো, দাবা, চাইনিস চেকার ইত্যাদি খেলুন। বাচ্চার সব থেকে কাছের বন্ধু তার বাবা-মা, ভাই-বোন। ভাই বোনের সাথে খেলতে দিন। যদি অন্য কোনো ভাইবোন না থাকে তবে বাবা-মা ই প্রিয় বন্ধু অাপনার বাচ্চার। সেই হিসাবে বাড়িতে থাকা কদিন বাচ্চার সাথে বাচ্চার মত করে খেলতে থাকুন। তাতে আপনার সময় কাটবে এবং বাচ্চাও অত্যন্ত খুশি হবে।

তাকে বিভিন্ন গল্প শুনিয়ে মনোরঞ্জন করতে পারেন। আগেকার দিনে ঠাকুরমা দাদুরা যেমন পৌরাণিক গল্প শুনিয়ে বাচ্চাদের মন কারতেন ঠিক সেভাবেই আপনিও বাচ্চার মনোরঞ্জন করতে পারেন সহজেই।এতেই আপনার বাচ্চা শান্ত এবং ধৈর্যশীল হবে। কাটুন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই বেশি কার্টুন দেখতে দেবেন না। এতে বাচ্চা আরো বেশি করে অস্থির হয়ে উঠবে। তাই যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। দরকার পরলে বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের সিনেমা দেখান এতে বিভিন্ন শিক্ষা লাভ হবে।

Loading

Leave a Reply