বিশ্ব

নতুন করে চীনের অন্যান্য প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে অপেক্ষা দ্বিতীয় ঝড়ের।

করোনাতে সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয়েছিল চীন। ডিসেম্বরে চীন থেকেই এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। জানুয়ারির একদম শেষ দিকে ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। মার্চের শেষ দিকে যখন ভারতবর্ষে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল তখনই বেরিয়ে আসে চীন।লকডাউন উঠে যায় আস্তে আস্তে। স্বাভাবিক হচ্ছিল চীন। কিন্তু হঠাৎ করে আবার নতুন করে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এবার অবশ্য কেবলমাত্র উহান নয়, চীনের অন্যান্য প্রদেশে করোনা ছরিয়ে পরার খবর মিলছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি এবার সাংহাই,বেজিংএ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল? চীনের উত্তরখণ্ডে সবথেকে জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানেও সংক্রমনের খবর মিলেছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আবার তৈরি হয়েছে নতুন করে আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় ঝড়ের অপেক্ষা।

এখন চীনে যথেষ্ট ঠান্ডা আছে এবং মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে বংশবৃদ্ধির জন্য যা যা প্রয়োজন এই মুহূর্তে চিনে সব মশলাই মজুত আছে।চিনা সংবাদসংস্থা জিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে জানিয়েছে, গুয়াংদং ও শেনঝেন শহরে যে নতুন ৩০ জনের সংক্রামিত হওয়ার খবর মিলেছে তা আসলে স্থানীয় সংক্রমণ। লকডাউনের সময় এঁদের কয়েকজন ঘরেই ছিলেন। তিনদিন বাইরে বেরোতেই তাঁরা সংক্রামিত হয়েছেন। তবে কি করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত? যদিও এই দাবি খারিজ করে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, করোনা বায়ুবাহিত এরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ২৫ জনই বিদেশ থেকে সম্প্রতি চিনে ফিরেছিলেন। তবে রবিবার চিনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭। আক্রান্তদের সবার বয়স ষাটের নিচে। সব মিলিয়ে চীনে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় শুধু চীন নয় সারা বিশ্বেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

Loading

Leave a Reply