ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবথেকে বড় যুদ্ধ বলা হয় কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে। একেবারেই এক পারিবারিক যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নেয়। পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা কে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হয়। আর এতে যোগ দেয় অগণিত মানুষ। মহাভারত অনুযায়ী এই যুদ্ধ চলছিল 18 দিন ধরে। যুদ্ধে কত মানুষের যে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। ছিন্ন মস্তকের তৈরি হয়েছিল কুরুক্ষেত্র জুড়ে। রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়েছিল রক্তনদী। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নিয়ম ছিল সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও মহাভারতে দেখা গেছে এই নিয়ম লঙ্ঘিত হতে।
যতক্ষণ পিতামহ ভীষ্ম যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়েছিলেন ততক্ষণই সমস্ত নিয়ম পালিত হয়। ভীষ্মের শরশয্যা পর থেকেই শুরু হয় ধর্মযুদ্ধে নিয়মভঙ্গের খেলা। এই যুদ্ধে যে এত লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেলেন সেই সমস্ত মৃতদেহের কি ঘটেছিল তা নিয়ে নানান কথা আছে।
অনেকে বলেন প্রতিদিন যুদ্ধের শেষে যাদের দেহ শনাক্ত করা যেত তাদের দেহ সৎকার করা হতো। বাকি দেহ স্তুপ আকৃতি করে পড়ে থাকতো। যুদ্ধের শেষে পিতামহ ভীষ্মের মৃত্যুর পর নাকি সমস্ত কুরুক্ষেত্র এলাকাজুড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে সমস্ত মাঠ। আর তাতেই ভষ্মিভূত হয় লক্ষ লক্ষ সেনাদের মৃতদেহ।