ফিচার

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা।

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে। বেশ কয়েক মাস কড়াকড়ির পরে কোভিড বিধি এখন অনেকটাই আলগা হয়েছে। লকডাউনও তেমন করে পালিত হচ্ছে না। চলছে বহু যানবাহন, খুলে গেছে কর্মক্ষেত্র। বাজার-দোকানে ভিড় সব জায়গাতেই স্পষ্ট। অথচ কোভিডের সংক্রমণ যে কমে গেছে, তা কিন্তু নয়। ফলে লাগাম আলগা হতেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার।

উৎসব পরবর্তী পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে করোনা নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে নতুন কোভিড গাইড লাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরও একটু কঠোর হবে নিয়ম। তবে লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না কোনও রাজ্যই।

বুধবার  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, তাতে আরও বেশি করে নজরদারি ও সংক্রমণ রোখার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে দেশ সফল হয়েছে। দেশে লাগাতার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার মাধ্যমে এই সাফল্য বোঝা যাচ্ছে। এই সাফল্যকে তা আরও ভাল করাই নয়া নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য।”

১) শুধু জরুরি পরিষেবার কাজে ছাড় দেওযা হবে কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে। কঠোর ভাবে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এ বিষয়টিতে কড়া নজরদারি রাখবে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ এবং পুরসভা। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।

২) কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। সেজন্য বিশেষ দল তৈরি করতে হবে।চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া যাতে কেউ ওই এলাকায় আসা-যাওয়া করতে না পারেন, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৩) পরিস্থিতির বিচার করে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তবে লকডাউন করা যাবে না। প্রয়োজনে রাত্রিকালীন কার্ফু (নাইট কার্ফু) বহাল করা যেতে পারে।

৪) করোনা সুরক্ষা বিধি পালন করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করবে রাজ্যগুলি। সেই সচেতনতা অনুযায়ী সকলে যাতে নিয়ম মানে, তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি কঠোর ভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

৫) মাস্ক না পরলে বা অন্য কোনও নিয়ম অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দিতে পারে রাজ্য। প্রয়োজনে জরিমানাও করা হতে পারে।

৬) বাজার-হাট, গণ পরিবহনের মতো ভিড় জায়গায় সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন করা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) জারি করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে তা মেনে চলতে হবে।

৭) বহু অফিসে বা কাজের জায়গায় যাতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং রাখা যায়, তার জন্য কর্মীদের কাজের শিফ্টের বদল করার প্রক্রিয়াটিকেও ভাবতে হবে বলে জানিয়েছে আজকের নির্দেশিকা। কাজের জায়গাতেও সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখা জরুরি।

Loading

Leave a Reply