আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই নেতা-নেত্রীর দ্বন্দ্ব। একদিকে সফিকুল ইসলাম (মেজকা), অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাস-মিনিবাস অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদিকা মধুমিতা ভট্টাচার্য। ঘটনার সূত্রপাত পারমিট ছাড়া বাস চালানোকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, মধুমিতার নির্দেশে পারমিট ছাড়াই একটি ঘাটাল-আরামবাগগামী বাসকে মাংরুল রুটে চালানো হচ্ছিল। অথচ একই কারণে আরটিও নাকি সফিকুলের বাস বন্ধ করে দেয়। সফিকুল ইসলাম ওরফে মেজকার অভিযোগ,মধুমিতা ভট্টাচার্যকে নেত্রী মানে না। দিনের পর দিন বাসস্ট্যান্ডে তোলাবাজি করছেন তিনি।প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বাস ঢোকে। পৌরসভার পার্কিং চার্জ বাসপ্রতি ২০ টাকা। মাসে ওঠে প্রায় ১.৮ লক্ষ টাকা। অথচ ২০২৪ সালে মধুমিতা টেন্ডারে লিখেছিলেন তিনি মাসে পৌরসভাকে দেবেন ৪.৬৬ লক্ষ টাকা। এত টাকা তিনি কীভাবে তুলবেন? কিন্তু সেই টেন্ডার পাননি মধুমিতা ভট্টাচার। টেন্ডার পান অপর এক ব্যক্তি। মধুমিতা ভট্টাচার্য প্রতিদিন বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে অশান্তি করছে।
অপরদিকে, তৃণমূল নেত্রী মধুমিতা ভট্টাচার্যের পাল্টা বক্তব্য—
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সম্মান দেন, অথচ সফিকুল মহিলাদের কুৎসিত ভাষায় অপমান করেছেন।
আমি টেন্ডার জমা দিয়েছিলাম। যদি দুর্নীতি থেকে থাকে তবে পৌরসভাও জড়িত। প্রয়োজনে চেয়ারম্যানকেও জিজ্ঞাসা করা হোক। পুরো বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানাব।
তবে প্রশ্ন উঠছে, প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বাস থেকে যেখানে সর্বোচ্চ আয় ১.৮ লক্ষ টাকা, সেখানে পৌরসভার টেন্ডার ২ লক্ষ টাকার বেশি কীভাবে ধরা হলো? প্রকাশ্যে দুই পক্ষের এই সংঘাতে স্পষ্ট, আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডের পার্কিং চার্জ দুর্নীতির আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আরামবাগ পৌরসভার বিরোধী কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আরামবাগ পৌরসভার পুরোটাই দুর্নীতিতে ভরা। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
![]()



