অনুব্রতবাবু তাঁর কাছ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি দিচ্ছিলেন না। সেই কারণেই নাকি তাকে হুমকি দেন গুসকরার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এবার অনুব্রত মণ্ডল কে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। নিত্যানন্দ প্রভু গুসকরা পুরসভার তিনবারের কাউন্সিলর ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রথম কাউন্সিলার হন। তিনি গুসকরা শহর সভাপতিও ছিলেন। তবে রাজনৈতিক জীবনে তিনি বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে তিনি বারবার প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বেশ কিছু দিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিলেন।
সোমবার গুসকরা পুরসভায় তিন সদস্যের প্রশাসক বোর্ড দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। তারপরই নিত্যানন্দর গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে শহরে। জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী গুসকরা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে ওই কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের প্রিয় নেতা অনুব্রতবাবু কে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই নিত্যানন্দবাবু নানা প্ররোচনা ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। তার পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেই নিত্যানন্দ বলেন, কেষ্ট মণ্ডল স্ত্রীর অসুখের সময় আমার কাছ থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না। বারবার চেয়েও ফেরত না পাওয়ায় আমি ওকে হুমকি দিয়েছিলাম। যদিও এ ব্যাপারে অনুব্রত বাবু বলেন, এটা কি মানুষ বিশ্বাস করে? ওর সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। ও একটা চিটিংবাজ লোক। একটা ভদ্রলোক বললেও হতো।