জেলা

অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কাটোয়া হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যু, দেহ আগলে ঘণ্টাখানেক বসে রইলেন ছেলে

সোমবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে নানা অভিযোগ উঠল। রেফার করার পর অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলেও অনেকের অভিযোগ। এর জেরে হাসপাতাল চত্বরে বাবার মৃতদেহ আগলে প্রায় ঘণ্টাখানেক বসে রইল ছেলে। মৃতের নাম সুভাষচন্দ্র বসু (৬৩)। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী থানার নিমদহ পঞ্চায়েতের পলাশবেড়িয়া গ্রামে। ঘণ্টা দেড়েক মৃত বাবার মাথা কোলে নিয়ে গাড়ি খুঁজছিলেন ছেলে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এই অমানবিক ঘটনায় সবাই হতবাক। শেষে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খবর পেয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসের সাহায্যে মৃতদেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

যদিও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, আমরা ওই রোগীকে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। রাস্তার যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে ওই মৃতদেহ হাসপাতাল চত্বরে নামিয়ে দিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সুভাষবাবুকে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পেশায় মুদি দোকানদার সুভাষবাবুর হাঁপানি রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। দুপুরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতলের চিকিৎসক। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়। অভিযোগ, অনেকেই শ্বাসকষ্ট শুনে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে প্রথমে অস্বীকার করে। অনেক পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে রাজি হলেও অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনেই রাস্তার উপর বাবার দেহ আগলে ছেলে সুজয় বসু বসেছিলেন। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অনেক বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অনেকে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনা শুনে স্তম্ভিত প্রত্যেকেই।

Loading

Leave a Reply