এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে তাঁদের বিনামূল্যে রেশন দেবে রাজ্য সরকার। তার জন্য বিশেষ কুপন ছাপানো হচ্ছে। প্রতি পরিবার পিছু এক কেজি চানা(ছোলা) ও জন প্রতি পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই বিশেষ রেশন সামগ্রী জুন ও জুলাই দু’মাস দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ ফরম্যাট। যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য তাঁরা খাদ্যদপ্তরকে দেবেন। সেই মতো রেশন বণ্টন করা হবে।
লকডাউনে বিপর্যস্ত রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে দেওয়া বিপুল খাদ্যসামগ্রী। প্রত্যেক রাজ্যবাসীর জন্য মাসে পাঁচ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। তার গুণমানও যথেষ্ট ভালো। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁদেরও কুপনের মাধ্যমে বিশেষ রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। মে মাস থেকে রাজ্যবাসী এই রেশন পাচ্ছেন। কিন্তু মে মাসের শেষ দিক থেকেই পরিস্থিতির বদল এসেছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, দক্ষিণ ভারত থেকে কাজ হারিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে ফিরছেন। করোনা পরিস্থিতির জেরে অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছে। তাই পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে বাংলায় এসে অভূক্ত না থাকেন, তারজন্য উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের এখানকার রেশন কার্ড আছে তাঁরা স্বাভাবিক নিয়মেই রেশন পাবেন। কিন্তু যে সব শ্রমিকরা দীর্ঘদিন বাইরে থাকায় এখানকার রেশন কার্ড নেই, তাঁদের দেওয়া হবে বিশেষ কুপন। যা দেখিয়ে এই দু’মাস রেশন মিলবে। জুন মাসেই কুপনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু করতে চলেছে খাদ্যদপ্তর। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য পিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও প্রতি পরিবার এক কেজি করে চানা দেওয়া হবে।