জেলা

এলাকা স্যানিটাইজ করার নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, ঘটনায় শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হুগলিতে।

এবারে এলাকা স্যানোটাইজ করার নামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গাতলা জ্যোতিষ সরণীতে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেত্রীর নাম শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে শর্মিষ্ঠা দেবী এলাকারই কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িবাড়ি যান। এলাকা পরিষ্কার এবং ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার নামে বাড়ির লোকদের কাছ থেকে ৫০টাকা করে দাবি করেন। তিনি নাকি পুরবাসীদের বলেন শনিবার এসে সেই টাকা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা পরিষ্কারের জন্য তো পৌরসভা আছে। লকডাউনের জেরে মাস খানেকের উপরে কাজ বন্ধ। কি খাবো তার ঠিক নেই, এখন যদি রাস্তা পরিষ্কারের নামে টাকা চাওয়া হয় তাহলে কি করে তা দেওয়া সম্ভব ?




যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী শর্মিষ্ঠাদেবী ৫০টাকা করে চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন পৌরসভা ওই এলাকা পরিষ্কার করতেই আসে না। তাই বর্তমান করোনা আবহে এলাকা পরিষ্কার রাখতে ওই টাকা চাওয়া হয়েছিল। যা দিয়ে এলাকা পরিষ্কার করা হবে। তবে কাউকে টাকা দেওয়ার জন্য জোর করা হয়নি। এদিকে এলাকার মানুষের একাংশের দাবি, পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকা পরিষ্কার হয়না। তাই শর্মিষ্ঠাদেবীর উদ্যোগকে তাঁরা সমর্থন করেন। এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের অর্পিতা সাহা বলেন ,শর্মিষ্ঠা দেবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারোনায় পৌরকর্মীরা ওই এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার করেন। আর টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানাবেন।



এ বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পৌরসভা কাউকে এলাকা পরিষ্কারের জন্য ঠিকা দিয়ে রাখেননি। তিনি শর্মিষ্ঠাদেবীর নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় বিধায়ক বলেন, আমার বিধানসভা এলাকায় ওই রকম তৃণমূল করা কর্মীর সংখ্যা কুড়ি হাজার। তা সেই ২০হাজার কর্মীদের মধ্যে কে চোর, কে ছ্যাঁচোর তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয় ! বর্তমান সময় মানুষকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার, টাকা চাওয়ার নয় ! টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে আমি থানায় জানিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেব ! সবমিলিয়ে এই ঘটনায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। আর দলের নেত্রীর নাম জড়ানো প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের মন্তব্য ঘিরেও শুরু হয়েছে চর্চা।



Loading

Leave a Reply