উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে নামল ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজের সচেতন নাগরিকরা। শুক্রবার আরামবাগ শহর জুড়ে অভিনব কায়দায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালো যুবক-যুবতীরা। প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি করা হল মানববন্ধন কর্মসূচিও।অভিনব এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের হাসরাথে মনীষা বাল্মিকী নামে এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এমনকি পরিবারের লোকজনের অজান্তে তার দেহ করে দেওয়া হয়। মনীষার দেহ সৎকার করে আগুন নিভিয়ে গেলেও সারা দেশজুড়ে অবশ্য প্রতিবাদের আগুন দাউদাউ করছে। ওই ঘটনার পর পুলিশ ও প্রশাসন কি করেছে তা গোটা দেশের মানুষই দেখেছে। তাই এই ঘটনাকে বিক্ষিপ্ত কোন ঘটনা বলতে নারাজ কলেজ পড়ুয়ারা। তাই অভিনব স্লোগান দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালো তারা। আরামবাগের হসপিটাল মোড় থেকে পুরাতন বাজার হয়ে গৌরহাটি মোর পর্যন্ত একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। পরে গৌরহাটি মোরে মানববন্ধনও করা হয়। এই মিছিল থেকে ওঠে ফ্যাসিবাদী দালাল সরকারের অপসারণের ডাক। একই সাথে মিছিলে যোগ দেওয়া এক সদস্য বলছেন, এ কোন রামরাজ্য যেখানে সীতারা লুণ্ঠিত হন। এদেশের মাটি মহাপুরুষদের মাটি, তা কোনদিনই ধর্ষকদের হতে পারেনা। কিন্তু মহিলারা আজ চরম অসহায় দিনে-দুপুরে ধর্ষিতা হতে হচ্ছে মহিলাদের। তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা জলের মতো স্বচ্ছ। মানুষের মধ্যে মূলত মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে এই কর্মসূচি বলে জানাল তারা।
অন্যদিকে অমৃতা মুখার্জী নামে এক কলেজপড়ুয়া বলছেন, তারা বাড়ি থেকে বের হন আর সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকে পরিবারের লোকজন। তাই মূলত নিজেদের অধিকার ও সুরক্ষার দাবিতে এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়া। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয় সারা দেশজুড়ে মহিলারা আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজেদের স্বার্থে ও অধিকার বজায় রাখতেই তাদের এই কর্মসূচি।
সবমিলিয়ে হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে আরামবাগের এদিনের এই অভিনব প্রতিবাদ মিছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম বার্তা দিল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
- আপনার পরিবার SIR এর আওতা থেকে বাদ পড়েছে কিনা তা নিজেই জেনে নিন
- উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্বের ফলপ্রকাশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রামকৃষ্ণ মিশন নরেন্দ্রপুর এবং রামকৃষ্ণ মিশন পুরুলিয়ার ছাত্রদের ৷ মেধাতালিকায় থাকা ৬৯ জনের মধ্যে ৫৫ জন এই দুই স্কুল থেকে৷
- প্রখ্যাত সৈনিক নীরা আর্যা, যিনি তাঁর বক্ষ কেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর রক্ষা করেছিলেন, ছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রথম নারী গুপ্তচর।
![]()

