জেলা

খানাকুলে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণে গিয়ে ঘটে গেল বিস্ফোরণ, জখম ২, পুলিশের জালে ৩।

বোমা তৈরীর কৌশল শিখতে গিয়ে ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি। বোমার আঘাতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল দুই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই দুই ব্যক্তি সহ মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ধৃত জখম ব্যক্তিদের নাম গোপাল পোল্লে ও রূপকুমার মন্ডল এবং ঘটনার পর এলাকা থেকে চম্পট দেওয়া আরও এক অভিযুক্ত হারু হাজরাকে গোপন সূত্রে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে হঠাতই এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় খানাকুলের হায়াতপুর এলাকায়।

আমরা আসছি…….

স্থানীয় ও আক্রান্তদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় রূপকুমার মন্ডল ও গোপাল পোল্লকে সাথে নিয়ে স্থানীয় এক যুবক হায়াতপুর ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায় বোমা তৈরীর কৌশল শেখাতে। সেখানে গিয়ে হঠাৎই ব্লাস্ট করে বোমা। মুহুর্তের মধ্যে এলাকা ভরে যায় বারুদের গন্ধে। ঘটনাস্থল থেকে দুই ব্যক্তি এলাকা থেকে ছুটে পালায়। মারাত্মকভাবে জখম গোপাল ও রুপকুমার ছুটে পালাতে না পেরে ওই এলাকাতেই পড়ে থাকে। এলাকায় পৌঁছে চক্ষু চড়ক গাছ স্থানীয় মানুষদের। তারা নাকি দেখেন এই জায়গায় বেআইনিভাবে বোমা তৈরি হচ্ছিল। পরে খবর দেওয়া হয় খানাকুল থানায়। ঘটনাস্থলে গোপাল ও রূপকুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় মানুষদের একাংশের অভিযোগ আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি ছাড়াও বেশকয়েকজন যুবক ওই এলাকায় দিনের-পর-দিন বেআইনিভাবে বোমা তৈরি করতো। এদিন ভয়ঙ্কর ঘটনার পর তা প্রকাশ্যে এল। যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকে বলে দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের তোলা অভিযোগ অবশ্য মেনে নিয়েছেন আক্রান্তরা। তারা দাবি করেছেন তারা তৃণমূল কংগ্রেস করেন।
অন্যদিকে, আক্রান্ত রুপকুমারের মা অসীমা মন্ডল বলছেন, তার ছেলে তৃণমূল কংগ্রেস করে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। এদিন স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তারপরেই ঘটে গেল বিপত্তি। এ বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনাটি শুনেছি সংবাদমাধ্যমের কাছে। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কেউ যদি সত্যিই দোষী হয় কেউ রেওয়াত পাবে না। কারণ আইন সবার জন্য এক। কেউ যদি দোষী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ কি বলছেন শুনুন।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। একপ্রকার থমথমে এলাকা। চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ সহ ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে এর পেছনে অন্য কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে অযথা এলাকার মানুষের আতঙ্কিত বা ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

Loading

Leave a Reply