রুক্ষ মাটির পথ। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। পুরুলিয়ার ছোট্ট গ্রাম বাঘমুণ্ডির তুনতুড়ী। কিন্তু হঠাৎ এই গ্রামের কথা উঠে আসছে কেন। কারণ এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত চরিত্র চক্রবর্তীর আদি গ্রাম এটাই। তবে গ্রামের মেয়ে মাদক কাণ্ডে জড়িত কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তুনতুড়ীর বাসিন্দারা। দন্ত বর্ধিষ্ণু পরিবারের মেয়ে রিয়া। এক সময়ের ১২টি মৌজার দেওয়ান ছিলেন চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বসূরীরা।
এই পরিবারের দেওয়া জমিতে গড়ে উঠেছে হাসপাতালে, স্কুল। তাদের পারিবারিক দুর্গাপুজোর বয়স আনুমানিক ৩২৩ বছর। রিয়াদের আত্মীয়রা এখনও গ্রামেই থাকে। তাঁরা অবশ্য দিয়া কাণ্ডে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁদের কারও বিশ্বাস হচ্ছে না যে এই পরিবারের মেয়ে এরকম কাজে যুক্ত করতে পারেন।
জানা গেছে রিয়ার দাদু শিরীষ চক্রবর্তীর এই গ্রামে জন্ম হয়েছিল। তিনি ধানবাদ কোলিয়ারির ম্যানেজার ছিলেন। তাই পরিবার নিয়ে সেখানে চলে যান। রিয়ার বাবা, কাকার জন্ম হয়েছিল ধানবাদেই। ৯ বছর বয়সে শেষবার গ্রামে এসেছেন রিয়া। তবে তার আত্মীয়রা চার বছর আগে পর্যন্ত গ্রামে এসেছিলেন। একসময়ের পুজোর চারদিন চক্রবর্তী পরিবারের সকলে এখানে আসতেন। এই পরিবারের অনেকেই উচ্চশিক্ষিত ও সরকারি উচ্চ পদে কর্মরত। ২০-২২ বছর আগে রিয়াকে নিয়ে তাঁর বাবা-মা গ্রামে এসেছিলেন। তাই এমন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে রিয়া যে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হতে পারে, তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চান না ছোট্ট গ্রাম তুনতুড়ীর বাসিন্দারা।