কিছুদিন আগেই সিউড়িতে দলের বুথ সভাপতি সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কয়েকদিন আগে কেতুগ্রামে মঞ্চ থেকে এখনই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন পরবর্তী বিধায়কের নাম। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। মঞ্চ থেকে দলের ফয়সালা করে দেওয়ায় মাহির বীরভূমের এই দীর্ঘদিনের দাপুটে জেলা সভাপতি। লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলে শুরু হয়েছিল ডামাডোল। অনেকেই দল ত্যাগ করে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন। অনেকে যোগ দিয়েছেন, অনেকে আবার দল থেকে দূরত্ব রাখারও চেষ্টা করেছেন। তবে শত টানাপোড়েন থাকলেও অনুব্রত আছেন অনুব্রতেই। আজও ভোটের আগে কর্মীরা চেয়ে থাকেন অনুব্রতর টোটকার দিকে। এবার অবশ্য অনুব্রত টোটকা ধরনটা একটু অন্যরকম দেখা গেল। এবার তাঁর ভরসা উপহার ‘থেরাপি’তে। বিধানসভা ভোটে লিড বাড়াতে পারলেই উপহার স্বরুপ মিলবে গ্রামের রাস্তা।
আউসগ্রাম এর বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এসে দলের সভাপতিকে এমনই আশ্বাসের কথা শোনালেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে ভোট এলেই অনুব্রত বিভিন্ন তত্ত্ব উজ্জীবিত করেছে কর্মী-সমর্থকদের। তার চড়াম চড়াম ঢাকই হোক বা নকুল দানা, সবকিছুই দলীয় কর্মীরা ভোটের ডোজ হিসেবে নেন। এবার কি তাহলে ভোটের টোটকায় বদলাতে চলেছেন এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা সভাপতি। আউশগ্রাম এর কর্মী সম্মেলনে অবশ্য সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেল। মঙ্গলবার আউশগ্রামে কর্মী সম্মেলনে এক বুথ সভাপতিকে অনুব্রত বলেন, আপনার বুথে আমরা এগিয়ে রয়েছি। বিধানসভা ভোটে লিড বাড়াতে পারবেন তো?
প্রত্যুত্তরে সেই বুথ সভাপতি বলেন, অবশ্যই পারব। বিধানসভা ভোটে আমাদের অনেক বেশি লিড হবে। তখনই অনুব্রতবাবুর ঘোষণা, যদি বিধানসভা ভোটে লিড বেশি হয়, তাহলে আপনাদের গ্রামের যেকোনো একটি রাস্তা করে দেব। কথা দিলাম।
প্রসঙ্গত বিধানসভা ভোট এখনো বেশ কয়েক মাস দেরি রয়েছে। তাহলে কি এবার ভোটের আগে অন্য অনুব্রতকে দেখতে চলেছেন কর্মীসমর্থকরা। নাকি স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে ভোটের আগে আবার নতুন থিওরি নিয়ে হাজির হবেন অনুব্রতবাবু সেটাই এখন দেখার।