সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টায়, পঞ্জাব পুলিশের ASI হরজিত সিংয়ের হাত জোড়া লাগালেন চন্ডিগড়ের PGIMER-এর ডাক্তাররা। লকডাউন মানা নিয়ে বচসার জেরে পাতিয়ালায় কয়েকজন আততায়ীর হাতে আক্রান্ত হন হরজিত। নিজেদের তলোয়ার দিয়ে পুলিশ কর্মীর হাত কুপিয়ে দেয় কয়েকজন নিহাং শিখ। এই ঘটনায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং টুইটারে বলেন আহত পুলিশ অফিসারের হাতের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এর আগে অমরিন্দর ঘটনার কড়া নিন্দা করে দোষীদের যথাপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
রবিবার সকালে লকডাউন মানা নিয়ে বিবাদ। জানা গিয়েছে কয়েকজন নিহাং শিখের কাছে কার্ফু পাস দেখতে চেয়েছিলেন হরজিত। তখনই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। নিহাং শিখ অর্থাত্ হাতে তরোয়াল নিয়ে ঘোরেন শিখ সম্প্রদায়ের যেসব মানুষ।
রবিবার সকাল ৬.১৫ নাগাদ এই হামলা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় গ্রামের গুরুদ্বারা থেকে এক মহিলা সহ এগারোজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজন সরাসরি হামলায় যুক্ত। জানা গিয়েছে বাজারে ব্যারিকেড লাগানো ছিল। কার্ফু পাস ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জনা পাঁচেক নিহাং গাড়ি করে ওই সব্জি মান্ডির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের থামায় পুলিশ। কিন্তু গেট ও ব্যারিকেডে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারে তারা। এরপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে আততায়ীরা।
তরবারির আঘাতে হাত কেটে যায় এএসআই হরজিত সিংয়ের। আহত হন আরও দুই পুলিশকর্মী। তাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে PGIMER-এ তাঁকে রেফার করা হয়। সেখানেই সফল অপারেশন হল তাঁর।