দেশ

দেশপ্রেম এর টনিক ঠিকঠাক কাজ না করায় দিল্লী এবারও অধরা বিজেপির।

বব দত্তঃসবমিলিয়ে পরিস্থিতি যা তাতে করে দিল্লী এবারও অধরা থাকছে বিজেপির।একপ্রকার বলাটা বোধহয় ভুলই হলো। নিশ্চিতভাবেই দিল্লি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিজেপি। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দিল্লির বিজেপি নেতারা দিল্লি জয়ের বিষয়ে নিশ্চয়তা কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল কোনভাবেই দিল্লিতে বিজেপি আসছে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শুধু দিল্লী নয় একের পর এক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ধরশায়ী হচ্ছে কেন? এই পরিস্থিতিতে প্রথমে আসা যাক দিল্লী নির্বাচনের কথায়। আম আদমি পার্টির প্রধান নেতা তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে যা বলেছেন কার্যক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই তা করে দেখিয়েছেন। তাঁর অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন এবং একের পর এক জনকল্যাণমূলক কাজ দিল্লির সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করেছে। ইন্টারনেট পরিষেবা, বিদ্যুৎ বিল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সবক্ষেত্রেই প্রখর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্লিন বোল্ড করেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এই ভোটে তার ফল পাচ্ছেন হাতেনাতে।

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদী দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি মুখে যে কথা বলেছিলেন কার্যক্ষেত্রে তা করতে পারেননি। জম্মু কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করার পর দেশবাসীকে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এখনো পর্যন্ত বাস্তবে তা সফল হয়নি। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি কেন্দ্র। এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে দেশজুড়ে ধ্বংসাত্বক আন্দোলন ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র সরকার। উল্টে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এমন সব মন্তব্য করেছেন যা সাধারণ মানুষ মোটেই ভাল চোখে নেয়নি। অন্যদিকে ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, লাফিয়ে লাফিয়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি, দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, জিডিপির হার কমে যাওয়া বিজেপিকে ঠেলে দিয়েছে। রাম মন্দির, বাবরি মসজিদ, জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে বেরিয়ে এমন কিছু করতে পারেনি যা সরাসরি সাধারন মানুষকে স্পর্শ করতে পারে। এই জায়গাতেই বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে সমস্ত কাজ করেছেন তার ফল মানুষ হাতে হাতে নিজের জীবনে উপলব্ধি করেছে। সোজা কথায় দেশপ্রেমের ধুয়ো দিল্লি নির্বাচনে ঠিকঠাক কাজ না করায় বিজেপির এই ভরাডুবি বলেই ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি।

Loading

Leave a Reply