করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কড়া নিয়ম মেনে আয়োজন করতে হবে দুর্গাপুজোর। পুজো স্টেডিয়ামে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার প্রকাশিত হল তার প্রশাসনিক নির্দেশিকা। ১১ দফা নির্দেশিকায় প্যান্ডাল তৈরি থেকে বিসর্জনের বিধিনিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কী কী করতে হবে আর কী করা যাবে না।
নির্দেশিকা অনুসারে
খোলা মাঠে পুজোর আয়োজন করতে হবে। মণ্ডপের চারদিক খোলা রাখতে হবে। মণ্ডপ ঘেরা হলে ছাদ খোলা রাখা বাধ্যতামূলক। মণ্ডপে ঢোকা বেরনোর গেট আলাদা করতে হবে।
সমস্ত দর্শককে মাস্ক পরে মণ্ডপে ঢুকতে হবে। মাস্ক না থাকলে তাঁকে মাস্ক দিতে হবে পুজো কমিটিকেই। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত আয়োজন রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্যানিটাইজ করতে হবে প্যান্ডেল।
মণ্ডপে ভিড় সামলাতে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। তাঁদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুর খেলার মতো আয়োজন করতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে। অঞ্জলির ফুল – বেলপাতা নিয়ে যেতে হবে বাড়ি থেকে। মণ্ডপ থেকে তা বিলি করা চলবে না। পুরোহিতকে আঞ্জলির মন্ত্র লাউড স্পিকারে পড়তে হবে। যাতে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তরাও তা শুনতে পান।
পুজো মণ্ডপ বা তার আসেপাশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না।
পুজোর পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ২টি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। পুরস্কার বিতরণ সারতে হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে।
পুজো কিমিটি সাউন্ড সিস্টেমে করোনা বিধি সম্পর্কে লাগাতার প্রচার চালাতে হবে।
পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জনে বেশি লোক জড়ো করা যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনের আগে জানাতে হবে থানাকে।
পুজোর অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
তৃতীয়া থেকেই ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
পুজোর পর রেড রোডে যে কার্নিভাল হয় তা এবার বাতিল করা হয়েছে। ফলে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে উদ্যোক্তাদের। দমকল ও পুর কর দিতে হবে না পুজো কমিটিগুলিকে। সঙ্গে অনুদান হিসাবে মিলবে ৫০ হাজার টাকা।