প্রেমের টানে লকডাউন থোরাই কেয়ার। লকডাউন অগ্রাহ্য করেই পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসল প্রেমিকা। করণা আতঙ্কে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। বাস ট্রেন পরিষেবা সবই প্রায় বন্ধ রয়েছে, তাই তাই বলে এত প্রতিকুলতার প্রেমকে হার মানাতে পারেনি। ইদানীং মাস দুয়েক ধরে প্রেমিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।তাই শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে সটান এসে হাজির হল প্রেমিকা। প্রেমিককে বাড়িতে না পেয়ে প্রেমিকা দরজার সামনে ধর্নায় বসে পড়ে । সাতসকালে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় ভাতারের কালুত্তক গ্রামে। বহরমপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী স্বামীবিছিন্না। তার সঙ্গে দু’বছর ধরে কালুত্তক গ্রামের যুবক তুহিন সেখের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দু’বছরের সম্পর্কে হঠাৎই ভাটা পড়ে। লকডাউনের সুযোগে ভালোবাসায় ইতি টানে তুহিন। দুমাস ধরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় মহিলা এসে তুহিনের বাড়ির সামনে ধর্না দেয়। তবে বাড়ি ছেড়ে ফেরার তুহিন শেখ।
যুবতীর দাবি, দু’বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রেখে সেই সম্পর্ক বর্তমানে অস্বীকার করছে তুহিন।ওই যুবতীর কলকাতায় বিয়ে হয়েছিল। তার একটি আট বছরের শিশুকন্যা আছে। এরই মধ্যে দু’বছর আগে ফেসবুকে আলাপ হয় তুহিনের সঙ্গে। তারপর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। তুহিন তাকে বিয়ে করার আশ্বাসও দেয়।কিন্তু এখন সে কোনও রকম যোগাযোগ রাখছে না।তুহিনের সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে যুবতী স্বামী সংসার সব হারিয়েছেন। কিন্তু সেই তুহিনই এখন বেপাত্তা।বর্তমানে তুহিন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। পাশাপাশি তুহিন মোবাইলের সিম চেঞ্জ করে ফেলেছে। ফলে তুহিনের সঙ্গে কোনওভাবেই যুবতী যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়েই এদিন তুহিনের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে ।যতক্ষণ না তুহিনের সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে ততক্ষণ যুবতী বাড়ির সামনেই বসে থাকবে বলে জামায়। এই বিষয়ে প্রেমিকের বাড়ির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।