জেলা

বন্ধ বাড়ি দুর্গন্ধের অাঁতুর ঘর।পুলিশ গিয়ে হতবাক।

বন্ধ বাড়ি থেকে একে একে মা ও ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বন্ধ বাড়ি থেকে ছাড়ছিল দুর্গন্ধ। ওই বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করেও মেলেনি সাড়া। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ধাক্কা দিতে ভিতরে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশকর্মীদের । বাড়ির ভিতরে ঢুকে ঠিক কী দেখলেন পুলিশকর্মীরা? বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই তাঁরা দেখেন একজন মহিলা অচেতন অবস্থায় মাটিতে শুয়ে রয়েছেন। তাঁর দেহ পচে গলে গিয়েছে। গায়ের উপর দিয়ে পোকামাকড় হাঁটাচলা করছে। দোতলায় দেহ উদ্ধারের পর নীচের তলায় চলে আসেন পুলিশকর্মীরা। সেখানেও প্রায় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

এরপর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই দেহ দু’টি শনাক্ত করেন। জানান অশীতিপর ওই মহিলার নাম মঞ্জুশ্রী মিত্র। তিনি প্রয়াত স্নেহময় মিত্রের স্ত্রী। ওই যুবক তাঁদেরই সন্তান শুভময় মিত্র। তাঁর বয়স ৫০ বছর। নিহতদের প্রতিবেশী শংকরানন্দ গুহ বলেন, “লেক মার্কেটে ভাড়া নেওয়া বইয়ের দোকান ছিল প্রয়াত স্নেহময় মিত্রের। সেই দোকানটি দিনকয়েক শুভময় চালিয়েছে। তবে বর্তমানে কলকাতা পুরসভার কিছু চুক্তিভিত্তিক কাজেও যুক্ত ছিলেন শুভময়। বৃদ্ধ মায়ের অসুস্থতা এবং আর্থিক টানাপোড়েনে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। সে কারণে এই কাণ্ড বলেই মনে হয়।” প্রতিবেশীদের দাবি, বেশ কয়েকদিন মা এবং ছেলে কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহতদের সেরকম ঘনিষ্ঠ কোনও পরিজন রয়েছেন কিনা, তাও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত নিহতদের প্রতিবেশীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই এগোচ্ছে তদন্ত।

Loading

Leave a Reply