দেশ

বিমান দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে পাইলটের মে ডে কল। কী এই মে ডে কল?

ভেঙে পড়ার আগে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল বিমানটি! ওড়ার পরই ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয় এটিসি-কে, তার পরই দুর্ঘটনা! মে’ডে কল পেয়ে পালটা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সাড়া পায়নি এটিসি।  কী এই মে ডে কল? আসুন জেনে নিই।

নিশ্চয়ই। নিচে “মে ডে কল” সম্পর্কে একটি টানা প্রবন্ধ বা তথ্যভিত্তিক লেখা দেওয়া হলো, যা পাঠ্য উপযোগী ও সংবাদধর্মী উভয় ভাবেই ব্যবহারযোগ্য:

মে ডে কল কী?

‘মে ডে’ (Mayday) কল হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জরুরি সংকেত, যা প্রধানত বিমান ও জাহাজের চালকরা ব্যবহার করেন চরম বিপদের সময়। যখন কোনো বিমান বা জলযান এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, যেখানে যাত্রী ও ক্রুদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এবং অবিলম্বে সহায়তা প্রয়োজন, তখন পাইলট বা ক্যাপ্টেন রেডিও মারফত বারবার “Mayday, Mayday, Mayday” উচ্চারণ করেন। এই সংকেত পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল টাওয়ার, উদ্ধারকারী সংস্থা কিংবা আশেপাশের যানবাহন দ্রুত প্রস্তুতি নেয় সহায়তার জন্য।

এই শব্দটির উৎস ফরাসি ভাষা থেকে, যেখানে “m’aider” শব্দের অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন”। ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে এটি প্রথম প্রবর্তিত হয়, যেহেতু তৎকালীন সময়ে রেডিওতে বার্তা দেওয়া ছিল একমাত্র দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম। “Mayday” শব্দটি তিনবার বলা হয় যেন তা অন্যান্য সাধারণ বার্তার সঙ্গে মিশে না যায় এবং এর গুরুত্ব স্পষ্ট বোঝা যায়।

একটি বিমান থেকে মে ডে সংকেত পাঠানো মানেই সেটি অত্যন্ত গুরুতর বিপদের মুখে রয়েছে—যেমন ইঞ্জিন বিকল, ককপিটে আগুন, জ্বালানির ঘাটতি, বিমান ছিনতাই, অথবা যান্ত্রিক ত্রুটি ইত্যাদি।
মে ডে কল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেমন—এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC), উদ্ধারকারী দল, দমকল ও মেডিকেল টিম দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং জরুরি অবতরণ বা উদ্ধার ব্যবস্থা নেয়।

এই সংকেতের মাধ্যমে বহুবার বড় দুর্ঘটনা থেকে জীবন বাঁচানো গেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন পাইলট মে ডে কল পাঠানোর পরও যদি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

Loading

Leave a Reply