বাহুবলী সিনেমায় পাথরের আস্ত শিবলিঙ্গ কাঁধে চড়িয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করতে দেখা গিয়েছিল। তার পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। কার্যত সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল মেমারির রঘুনাথবাটি গ্রামে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন দেবতা মহাদেবকে মন্দির থেকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে এই ঘটনায় মেমারির রঘুনাথবাটিতে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। চুরির খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও শোরগোল পড়ে যায়। যদিও চুরি যাওয়ার মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাচীন দেবতা কে খুঁজে বের করল পুলিশ এমনকী উদ্ধার হওয়ার পর থানার ওসির কাঁধে চড়ে গ্রামে ফিরলেন বাবা মহাদেব।
গ্রামের দেবতা মহাদেবকে ফিরে পেয়ে গোটা গ্রাম তখন উচ্ছ্বসিত। পুলিশের এই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের এই প্রাচীন শিবলিঙ্গটি পারিবারিক হলেও বর্তমানে গ্রামেরই দেবতা হয়ে উঠেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মন্দিরের পুরোহিত এসে দেখেন, মহাদেব নেই। যাদের পারিবারিক মন্দির তিনি সেই পরিবারের কর্তাকে জানান। তারপর তিনি মেমারি থানায় চুরি যাওয়ার খবর দেন। প্রাচীন এই মহাদেব খুবই জাগ্রত এবং প্রায় পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন। তাই খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ তদন্তে নামে।
তল্লাশি চালিয়ে মন্দির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে একটি খড়ের গাদা থেকে পুলিশ মহাদেবকে উদ্ধার করে। তারপর মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় নিজের কাঁধে মহাদেবকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে গ্রামে যান। পাশে এসডিপিও, সিআই সহ অনেকেই ছিলেন। গ্রামে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সকলে। মিষ্টি বিতরণ শুরু হয় গ্রামে। এই কাজের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।