জেলা

মেয়েদের স্কুটি দেখলেই সঙ্গিনী ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ‘রোমিও কামদেব’

সবেমাত্র সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে। আর বয়স বাড়তে শুরু হয়েছে তার ‘দুষ্টুমি’। মেয়েদের স্কুটি দেখলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন ‘কামদেব’। কয়েকশো বাইক দাঁড়িয়ে থাকলেও বেছে বেছে মেয়েদের স্কুটিকেই সঙ্গিনী ভেবে টার্গেট করছেন তিনি। এই কামদেব আসলে একটি ষাঁড়। দুর্গাপুরের বেনাচিতি সব্জি বাজারে দিনে-দুপুরে কামদেবের দুষ্টুমির জেরে রীতিমতো অতিষ্ঠ বাজারে আসা ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। বাজারে মেয়েদের স্কুটি দেখতে পেলেই প্রথমে রোমিও স্টাইলে সেটির ঘ্রাণ নিচ্ছে কামদেব। তারপর সামনের দুটি পা তুলে স্কুটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে সে। এতে স্কুটির ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জখম হচ্ছেন চালক থেকে আরোহীরা। অবশ্য ষাঁড়ের এই বিশেষ পোজে দুষ্টুমি দেখে অনেকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মজা উপভোগ করছেন। কিন্তু কামদেবের এই দুষ্টুমির জেরে আতঙ্কে বাজারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকে স্কুটি নিয়ে বাজারে আসতে ভয় পাচ্ছেন। এর জেরে তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। কারণ এখনও পর্যন্ত কামদেবের তাণ্ডবে ৩০ টির বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, অবিলম্বে প্রশাসন এই ষাঁড়টি অন্যত্র স্থানান্তরিত করুক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেনাচিতির ওই সবজি বাজারে ৬ টি ষাঁড় রয়েছে। তারা বাজারে ঘুরে বেড়ায়। তাদের কোনও মালিকানা নেই। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের ঝুড়ি থেকে সবজি তুলে খেয়ে নেয়। প্রত্যেক ব্যবসায়ী ষাঁড় তাড়াতে একটি করে লাঠি নিজের হাতে রাখেন। আবার সবজি বাজার করতে করতে এসে মাঝেমধ্যে গ্রাহকদের ষাঁড়ের গুঁতো খেতে হয়। তবে অনেকেই মহাদেবের বাহন মনে করে ষাঁড়গুলির কোনও ক্ষতি করেন না। ব্যবসায়ীরা আচরণের উপর ভিত্তি করে তাদের নামকরণও করেছেন। বাজারে ঘুরে বেড়ানো সার গুলির মধ্যে রয়েছে বাহুবলী, মহাদেব, ভোলানাথ, দাদা প্রভৃতি। যদিও কালো ওই ষাঁড়টি মাসখানেক হল বাজারে এসেছে। তার এই বিশেষ দুষ্টুমির কারণে ব্যবসায়ীরা তার নাম রেখেছেন কামদেব।

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারে আসা মেয়েদের স্কুটির ওপর চেপে বসেছে কামদেব। বাজার করতে আসা বহু মহিলার স্কুটির উপরে হঠাৎ করে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এতে স্কুটির ক্ষতির পাশাপাশি মহিলারাও জখম হচ্ছেন। প্রতিদিনই বাজারে এই ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুটির গ্রাহকরা। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে কামদেব। তাই সঙ্গিনী মনে করেই সে মহিলাদের স্কুটিতে দু পা তুলে ঝাঁপাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই গৃহবধূ বলেন, ওই ষাঁড়টি কাউকে গুঁতোয় না। কিন্তু আমাদের স্কুটিতে চেপে বসেছিল। তাতে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিলে সকলেই উপকৃত হবেন।

Leave a ReplyCancel reply