জেলা

লকডাউনের জেরে দিশাহীন বিষ্ণুপুরের বালুচরীর তাঁতশিল্পীরা

‘করোনা’ সতর্কতায় দেশ জুড়ে লকডাউন। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পর্যায়ের পর এবার তা চতুর্থ পর্যায়ের পথে। এই মুহূর্তে ওষুধ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাদে বাকি সব বাজার, হাট বন্ধ। আর রেশ এসে পৌঁছেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী বালুচরি শিল্পেও। লকডাউনের দিন গুলিতে ভালো নেই এখানকার অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীরা। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলির এখন পথে বসার জোগাড়।

বাংলা নববর্ষের অন্যান্য বছর এই সময়টাতে চরম ব্যস্ততা থাকে বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্পীদের মধ্যেও। এইসময় থেকেই মূলত পুজোর ‘অর্ডার’ আসতে শুরু করে। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের ঘটনায় সব কেমন যেন ওলটপালট করে দিল। কাজ বন্ধ, গৃহবন্দি অসহায় দীন-দরিদ্র শিল্পীরা, চরম আর্থিক সমস্যায় তাঁত মালিকরাও।লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে জানিয়ে বালুচরী শিল্পী শম্ভুনাথ বিট বলেন, কাঁচামাল আসা বন্ধ হয়েছে। মহাজনের কাছ থেকে যা টাকা পাওয়া যাচ্ছে তা কর্মীদের দিয়ে নিজেদের জন্য কিছুই থাকছেনা।

বালুচরী ‘ক্লাষ্টারে’র সঙ্গে যুক্ত রাজু পাল বলেন, আইনী জটিলতা কাটিয়ে জমা থাকা ২১ লক্ষ টাকা দিয়ে সরাসরি তাঁতিদের কাছ থেকে শাড়ি কেনা হোক। এতে এই মুহূর্তে এখানকার তাঁত শিল্পীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। মারণ ভাইরাস করোনা প্রায় সারা পৃথিবী জুড়ে সব কিছু ওলটপালট করে দিল। বিশ্ব অর্থনীতি আজ বিরাট এক প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে। কবে আবার তাঁতের শব্দে মুখরিত হবে বিষ্ণুপুর, কবে তাঁত যন্ত্রের ধুলো ছেড়ে আবারও হাসিমুখে তাঁতঘরে বসবেন শিল্পীরা। কবে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য ভাবতে হবেনা। সেই সুদিন কবে আসবে। এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্পীরা।

Loading

Leave a Reply