সালটা ১৯৯৮। কংগ্রেসের সাথে জোট ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নামে একটি আলাদা দল গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় সারা বাংলা ছিল বামেদের লাল দূর্গ বলেই পরিচিত। সেই সময় বেশ কয়েকজন সক্রিয় নেতৃত্ব মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে তৃণমূল কংগ্রেস করার জন্য গোঘাটে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গোঘাটের বালিদেওয়ানগঞ্জ এলাকার মদন চক্রবর্তী। তিনি ১১ই মে নিহত হন।
তৃণমূলের দাবি, সিপিআইএম পরিকল্পনামাফিক তাকে খুন করে। এই ঘটনার পর সারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু মদনবাবু নয় হুগলি জেলা আকবর আলি খন্দকারের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই শুরু করেন। আরামবাগ মহকুমাতেও বহু মানুষ নিহত হন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন শাসক দল নাকি সক্রিয় এই তৃণমূল নেতৃত্বদের খুন করে। করোনার এই আবহে নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাদের দল করার অপরাধে শহীদ হওয়া পরিবারগুলির অসহায়তার কথা মাথায় রেখেই মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জি নির্দেশমতো তারা পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এটা কোন ত্রাণ নয়। কেবলমাত্র পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা মাত্র। সোমবার বালিদেওয়ানগঞ্জ এলাকায় নিহত মদন চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে তার সামগ্রী তুলে দিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা যুব সভাপতি শান্তনু ব্যানার্জি, তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, বিধায়ক মানস মজুমদার। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী, রাজেশ চৌধুরীরা, ব্লক সভাপতি নারায়ন চন্দ্র পাঁজারা।
এবিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দলে করার অপরাধে সিপিআইএমের লোকজন নৃশংসভাবে হুগলি জেলায় বেশ কয়েকজন মানুষকে খুন করেছিল। তাদের মধ্যে মদন চক্রবর্তী ছিলেন অন্যতম। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে এই কর্মসূচি। অন্যদিকে এ বিষয়ে যুব সভাপতি শান্তনু ব্যানার্জি বলেন, তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস করার অপরাধে সিপিএমের লোকজন তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে খুন করেছিল। এই করোনার আবহে এই পরিবারগুলির অসহায়তার কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো হল। সারা জেলা জুড়ে নিহত তাদের দলের নিহত কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন তারা। নিহত মদন চক্রবর্তীর স্ত্রী সাবিত্রী চক্রবর্তী একপ্রকার বাকরুদ্ধ এদিনের ঘটনায়।