জেলা

সাসপেন্ড হওয়ার পরেও বসে গেলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেয়ারে।

সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা হয়ে সোজা গিয়ে বসলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গি ব্লক এর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক নেতা হিসাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দিবাকর জানা।  সেই জন্য দল তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন।  কিন্তু সমস্ত আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে  তিনি সোজাসুজি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে গিয়ে বসলেন। এ বিষয়ে জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী জানালেন  দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হওয়ার পরেও  তিনি হঠাৎ করে এই কাজটি কোনোভাবেই ঠিক কাজ করেননি। এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি। এর আগেও বহুবার চর্চিত হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।  আর এবার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই ফের চোখে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।

অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড নেতা দিবাকর জানা জানালেন তিনি শহীদ মাতঙ্গি ব্লকের সভাপতি পদে সিংহভাগ জনপ্রতিনিধি নিয়েই বসে ছিলেন। অন্য সকল পঞ্চায়েত প্রধান দের মতই তিনিও বহু ভোট পেয়েছিলেন। তারমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৯ জন মেম্বার এবং ছয়জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং ২২ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান তারা সকলে মিটিং করে তাকে ওই পদে পুনর্বার বসিয়েছেন এবং মাতঙ্গিনী পদে পূর্ব মেদিনীপুরের পুনরায় তৃণমূলকে জয় পাইয়া দেওয়ার জন্যই এই পদ লাভ। অপরদিকে শিশিরবাবুর পাল্টা তিনি বলেন সাসপেন্ডের চিঠি  দিয়েছিলেন জেলা সভাপতি শিশিরবাবু। তার সাসপেন্ড লেটারের এর জবাবও তিনি দিয়েছেন। কিন্তু মাতঙ্গি ব্লকের ভালোর জন্যই তিনি সভাপতির চেয়ারে বসেছেন। তাতে যদি দল বিরূপ সিদ্ধান্ত নেন তিনি তা মাথা পেতে নেবেন।

Leave a ReplyCancel reply