রাজ্য

সোনাগাছিতেও পড়ছে করোনের প্রভাব। শুরু হয়েছে কাস্টমার বাছাইপর্ব।

করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা চলছে। আর এই দুঃসময়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সোনাগাছি সহ বিভিন্ন যৌনপল্লীর কর্মীরা। এই পল্লীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন এখন তাদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে আসছে কিনা তা বোঝার উপায় নেই। এছাড়াও দেশজুড়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেই কারণে প্রতিদিনই আস্তে আস্তে এখানে ভিড় কমছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আসানসোল সহ বিভিন্ন যৌনপল্লীতে কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে।

এবার সোনাগাছিতে শুরু হলো কাস্টমার বাছাইয়ের কাজ। এমনিতেই আগের তুলনায় কাস্টমার এক-চতুর্থাংশ হয়ে গেছে। তার ফলে ব্যবসার পাশাপাশি মেয়েদের পেটেও টান পড়ছে। দুর্বার মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডঃ স্মরজিৎ জানা বলেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয় এতে অযথা আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। রোগের থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাই সোনাগাছির যৌনকর্মীরাও ভয় পাচ্ছেন। যৌনপল্লীতে যারা কর্মরত, তারা সমাজের মধ্যে থেকেও সমাজ তাঁদের অনেকটা দূরে সরিয়ে রেখেছে।

সেই কারণে তারা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে কারও জ্বর, সর্দি হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসতে। আর যদি গুরুতর সমস্যা হয়, তাহলে তাঁকে শহরের আইসোলেসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব আমরা’।এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার আগে কাস্টমারের সর্দি কাশি আছে কি না সেটা ভালো করে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে কাস্টমার কম নিলে ভালো হয়। এবং যৌনকর্মের পর যেন ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া হয়। স্যানিটাইজার যেহেতু বাজারে নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে আমরা ভালো সাবান দিচ্ছি। ভালো সাবান এবং ডেটল ব্যবহার করার কথাও বলছি।’

Loading

Leave a Reply