বিশ্ব

হানিমুনে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন নবদম্পতি, তথ্য গোপন করায় দায়ের হল অভিযোগ।

সদ্য বিবাহিত স্বামী স্ত্রী হানিমুন করতে গিয়েছিলেন ইতালিতে। অার সেখানে গিয়েই সর্দি-কাশি,জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে অাক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে অাসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারা যায় স্বামী করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণেই তাকে রাখা হয় আইসোলেশনে। কিন্তু তার সাথে স্ত্রীরও একই উপসর্গ দেখা গেলে বিভিন্ন রকম ভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়। আর সে কারণেই এবার মেয়েটির বাবার নামে এফআইআর দায়ের করা হলো। জানা গেছে এমনই ঘটনা ঘটেছে আগ্রায় ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে কলোনিতে। বেশ কিছুদিন আগেই বিবাহ হয়েছিল আগ্রার ক্যান্টনমেন্টের মেয়ের সাথে একটি যুবকের। তারা হানিমুনে ইতালি গিয়েছিলেন। করোনা হবার আগের থেকেই টিকিট বুক থাকার জন্য তারা ইতালি ভ্রমণে যায়। ইতালিতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্বামী। সেখানে সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে টেস্ট করিয়ে দেখা যায় তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন।

তাকে এস এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তে করোনার সংক্রমণ থাকার কারণে তাকে আইসোলেশন রাখা হয়। যেহেতু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেক সময় সাথেসাথে তারে এফেক্ট বোঝা যায় না, সে কারণে স্বামী ভর্তি হবার কিছুদিনের মধ্যেই মেয়েটিরও একই উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু পরিবারের লোক সম্পূর্ণভাবে সেটি গোপন করে যায়। মেয়েটির সর্দি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা যায়। অার তা গোপন করা হলেও কানাঘুষো খবর যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা গিয়ে মেয়েটিকে পরীক্ষা করতে চান এবং কোয়ারেন্টাইনে রাখতে চান। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাদের কাছেও সম্পূর্ণভাবে গোপন করে যায় মেয়ে এবং জামাইএর অসুস্থতার কথা। কিন্তু পরে সত্য ঘটনার কথা জানতে পারা গেলে মেয়েটির বাবার নামে এফআইআর করা হয়। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মেয়েটির বাবার নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা এবং ২৭০ ধারায় মামলা রুজু করেন।

প্রশাসনিক কর্তারা জানান ভবিষ্যতে এই ধরনের রোগ গোপনের ব্যাপার হলে আরো বড় সড় পদক্ষেপ নেবে তারা। অার করোনা এমন একটি ভাইরাস কেবল মাত্র রোগী নয় রোগীর আশেপাশের লোকজন দেরও সংক্রমণ ঘটে। সে কারণেই এইরূপ রোগকে গোপন করা কখনই ঠিক নয়। প্রশাসনিক কর্তা জানান এই করোনা রোগ আক্রমণ ভবিষ্যতে গোপন করলে আরো বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান ১২ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনার জন্য। তার মধ্যে মেয়েটির রিপোর্ট এখনো এসে পৌঁছায়নি। তবে যেহেতু স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন এবং মেয়েটিরও একই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এবং তারা একই সাথে ইতালিতে ছিলেন, সে কারণে মেয়েটিকে তত্ত্বাবধানে রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং মেয়েটির বাবা মাকেও সেলফ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

Loading

Leave a Reply