চলছে লকডাউন। গ্রামের চিকিৎসকের পরামর্শ মত বহু কষ্টে একটি টোটো ব্যাবস্থা করে প্রায় ১০ কিমি পাড়ি দিয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা স্বামীকে নিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু সেখানেও ভর্তি নেওয়া হল না। অগত্যা হাসপাতালে বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনেই স্বামীকে নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রইলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের।
পোলবা থানার গোটু এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি লক্ষ্মন চন্দ্র মালিক(৪২) কয়েকদিন ধরে কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভূগছিলেন। গ্রামের হাতুড়েকে দেখিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় গতকাল স্থানীয় ১ চিকিৎসকের কাছে লক্ষ্মনবাবুকে নিয়ে যান তাঁর স্ত্রী মৌসুমি মালিক। সেই চিকিৎসক তড়িঘড়ি তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন বলে মৌসুমি দেবীর দাবি। লকডাউনের মধ্যে রাতে কাউকে না পেয়ে রবিবার সকালে স্থানীয় এক টোটো চালককে বহু অনুরোধের পর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু অভিযোগ, এমারজেন্সিতে তাঁর শ্বাসকষ্টের কথা শুনে বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে খোলা বিশেষ আউটডোরে তাঁকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে ৩ দিনের জন্য অল্প ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মৌসুমিদেবী বলেন স্বামীর শ্বাসকষ্টের কথা অনেক করে বললাম চিকিৎসককে। কিন্তু অক্সিজেন দেওয়ার কোন ব্যাবস্থাই করলো না। এত কষ্ট করে এসে এই অবস্থায় স্বামীকে কি করে ফিরিয়ে নিয়ে যাব? তাই সকাল ১১টা থেকে ঘড়ির কাটা দুপুর ৩টে হয়ে গেল তখনও ভর্তির নেওয়ার আশায় বসে রইলাম। এদিকে লক্ষ্মনবাবুও চরম শ্বাসকষ্ট নিয়ে বলছেন আমাকে একটু অক্সিজেন দিন, একটু অক্সিজেন পেলেই আমি ঠিক হয়ে যাব ! যদিও এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।