দেশ

ভগবানের ঘর থেকে ‘তোলা’ দাবি পঞ্চায়েতের, ক্ষুব্ধ বিচারপতি

কয়েক বছর আগে বলিউডের একটি জনপ্রিয় সিনেমা ‘ওহ মাই গডে’ ভগবানের বিরুদ্ধে মামলা করতে দেখা গিয়েছিল। এবার ভগবানের ঘর থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল বসিরহাটের একটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ঘটনা খানিকটা যেন পরেশ রাওয়াল অভিনীত ওহ মাই গড সিনেমার কথাই মনে করাচ্ছে। জানা গেছে, ঠাকুরের সম্পত্তির আয় থেকে তোলা চেয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেননি ভগবানের সেবাইতরা। এর ফলে আসরে নামেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। তাতেও সেবায়েতের অবশ্য কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না। পরে নির্দেশ আসে মহকুমা শাসকের কাছ থেকে যে, দেবোত্র সম্পত্তির আয়ের ৩০ শতাংশ ওই পঞ্চায়েতকে খাজনা বাবদ দিতে হবে। এই নির্দেশকে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে এটা তোলাবাজির সমান।

ওই দেবত্র ট্রাস্টের তরফে দায়ের হওয়া মামলায় কীভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তা থেকে মহকুমাশাসক এমন নির্দেশ জারি করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি। এমনকী মহকুমা শাসক কী করে এমন নির্দেশ দিতে পারেন তা নিয়ে রীতিমতো হতবাক আদালত। জানা গেছে, বসিরহাটের ওই পঞ্চায়েত এলাকায় শ্যামসুন্দর জিউয়ের মন্দির ও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে সেই সব সম্পত্তি দেখভালের জন্য রয়েছে একটি ট্রাস্টি বোর্ড। বহু বছর ধরে ওই মন্দিরের অধীনে থাকা একটি মাঠে সপ্তাহে দুদিন করে হাট বসে।

হাটের ইজারা জন্য এবছর দরপত্র ডাকা হতেই শুরু হয় গোলমাল আদালত সূত্রে খবর এক বছরের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার দরপত্র অভিযোগ পঞ্চায়েত একটা অংশ তাদের দিতে হবে বলে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ট্রাস্টি বোর্ডে অস্বীকার করেন এরপর এই আসরে নামেন বিডিও। তাঁর মধ্যস্থতায় ট্রাস্টি বোর্ড মাথা নত না করায় ওই জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ জারি করেন বিডিও। ট্রাস্টি বোর্ডের মহকুমা শাসককে জানান। যদিও তাতেও সমাধানের সূত্রপাত মেলেনি। বরং মহকুমা শাসক উল্টে আয়ের ৩০ শতাংশ পঞ্চায়েতকে দিতে হবে বলে ফরমান জারি করেন। আর এই ঘটনাটিতে রীতিমতো হতবাক হাইকোর্টের বিচারপতি।

Loading

Leave a Reply