জেলা

আরামবাগ বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন। নঈমুল হক সহ একাধিক মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।

দোরগোড়ায় পৌর নির্বাচন। বেশ কিছুদিন ধরে আরামবাগ বিজেপি ভাঙতে শুরু করেছে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতাকর্মীরা ভিড় জমায় বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বিজেপির রাজ্য সভাপতির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেয়। কিন্তু বিজেপিতে সেই অর্থে সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি বিশ্বনাথ কারককে। লোকসভা নির্বাচনের পর খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা নঈমুল হক, সন্দীপ বর মুকুল রায়ের হাত ধরে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেন।এর পর খানাকুল, আরামবাগের অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করে। কিছুদিন যাওয়ার পর মোহভঙ্গ হতে শুরু করে। সন্দীপ বর সহ অনেকেই তৃণমূলে ফিরে আসে। বিশেষ সূত্রে খবর আজ পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হচ্ছে বিজেপির। সকাল 11 টা নাগাদ কলকাতার চেতলায় ফিরহাদ হাকিম এর হাত ধরে নঈমুল হক পুনরায় তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন। পাশাপাশি বিজেপির পুরনো দিনের একাধিক নেতা বহু কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।

তৃণমূলের দাবি একাধিক মন্ডল সভাপতি, একাধিক সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি কয়েকশো কর্মী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য মধ্যে রামকৃষ্ণ মাইতি, অর্ণব সরকার, অখিল জানা, পিন্টু চোংদার সহ অনেকেই আছেন। মূলত সিএ এ বিরোধিতায় তারা বিজেপি ছাড়ার কথা জানালেও সূত্র থেকে জানা গেছে বিজেপিতে ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ার কারণে তারা বিজেপি ছাড়ছে। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দেয়, সেই দলে কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ থাকতে পারে না। সেই কারণে যে সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে এখনো বুদ্ধি আছে তারা প্রত্যেকেই তৃণমূলে ফিরে আসছে। যদিও এখনও বিজেপি নেতৃত্ব সেভাবে মুখ খোলেনি। কিন্তু পৌর নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই বিজেপিতে এই ভাঙ্গন বিজেপি নেতৃত্বকে নিশ্চিতভাবে অস্বস্তিতে ফেলবে। পাশাপাশি অনেকটাই জোর বাড়বে তৃণমূলের।

Loading

Leave a Reply