দেশ

নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয়, গণতন্ত্রের সূচক অনুযায়ী পিছচ্ছে ভারত

প্রথমেই কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ। তারপর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গত এক বছরে দেশে বিক্ষোভের কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। গত এক বছর ধরে দেশের এই টালমাটাল অবস্থা চলছে। কোনও না কোনও ইস্যুতে সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ, আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। তারই প্রভাব পড়তে চলেছে এবার গণতন্ত্রের সূচকে। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের গণতন্ত্র সূচকে ভারত এখন ৫১ তম স্থানে রয়েছে। যা গতবারের তুলনায় কমে গিয়েছে। 

গণতন্ত্রের মাপকাঠিতে এই অবনমনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কাশ্মীর ও এনআরসি, সিএএ ইস্যু। পাঁচটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় গণতন্ত্র সূচক। সেগুলি হল, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং বহুত্ববাদ, সরকারের ভূমিকা, রাজনৈতিক যোগদান, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের গণতন্ত্র সূচক কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয়। ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের উপর করা এই সমীক্ষার পাঁচটি বিভাগ রয়েছে। যেসব দেশের স্কোর ৮ এর বেশি তারা পূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকাভুক্ত।

যাদের স্কোর ৬এর বেশি কিন্তু ৮ এর কম বা সমান তারা ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। যাদের স্কোর ৪ এর বেশি বা ৬ এর কম বা সমান তারা মিশ্র শাসনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। আর যাদের গণতন্ত্রের স্কোর ৪ এর কম তাদের স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৯ এর গণতন্ত্র সূচকে ভারতের স্কোর ৬.৯০। অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র।

Loading

Leave a Reply