দেশ

বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য এবার দ্বিগুণ পেনশন স্কিম

মোদি সরকার এবার বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পিএফের ব্যবস্থা করল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইপিএফ অনুযায়ী শীঘ্রই পেনশন স্কিম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আর সেজন্যই চাকুরিজীবীরা তাদের মাসিক বেতনের টাকা থেকে তাদের ইচ্ছামতো টাকা কাটিয়ে জমা রাখতে পারেন পিএফএর জন্য। সবথেকে কম ১০০ টাকা জমা রাখতে পারেন। আর সমমূল্যের টাকা ওই সংস্থাটিকে স্কিমে জমা রাখতে হবে। অর্থ সচিব রাজীব কুমার জানিয়েছেন, শীঘ্রই নতুন সিস্টেম তৈরি করা হবে এবং যাতে প্রতিমাসে ন্যূনতম ১০০ টাকা বেতন থেকে টাকা কাটাতে পারবেন কর্মীরা এবং ওই একই অংকের টাকা ওই সংস্থাকেও যোগদান করতে হবে। অবসর সময়ের কথা ভেবে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবসর সময়ে লাভবান হবেন চাকুরীজীবীরা। পিএফ এর জন্য কাটা টাকা দুটি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্থাৎ ইপিএফ এবং দ্বিতীয় পেনশন ফান্ড অর্থাৎ ইপিএস জমা পড়ে। বেসিকের ১২ শতাংশ ইপিএফএ জমা পড়ে। এছাড়া ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফএ জমা পড়ে। বাকি ৮.৩৩শতাংশ পেনশন যোজনা অর্থাৎ ইপিএসে জমা পড়ে। পিএফ এর অ্যাকাউন্ট এর টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তুলে নিতে পারবেন।

তবে এই পেনশনের টাকা তুলতে গেলে আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে। ছয় মাসের বেশি কিন্তু ৯ বছর ৬ মাস চাকরি করে থাকেন তাহলে ফর্ম ১৯ ও ১০ ই জমা দিয়ে পিএফ ও পেনসনে টাকা তুলতে পারবেন। তবে এর জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অনলাইনে পেনশনের টাকা তোলার প্রক্রিয়া এখনও চালু করা হয়নি। ফর্ম ভর্তি করার পর এম প্লেয়ার অর্থাৎ ইপিএফও কার্যালয়ে সেটি জমা করতে হবে। তবে বাজেটে সীতারামন প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের জন্য এনপিএসকে পি এফ আর ডি এ থেকে আলাদা করা যেতে পারে।

অপরদিকে পিএফ এর টাকা আপনি দ্বিগুণ করতে চাইলে তাও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি মাসিক স্যালারি কম পাবেন। সেই টাকা দুটি দফায় জমা হবে। একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্থাৎ ইপিএফ এবং দ্বিতীয় টি পেনশন ফান্ড অর্থাৎ ইপিএস। বর্তমানে বেসিক স্যালারি থেকে ১২ শতাংশ পিএফ খাতায় যোগ করা হয়। তা যদি কেউ ২৪ শতাংশ করে তাহলে পিএফ সহজেই দ্বিগুণ হবে। এর জেরে আপনি সুদও দ্বিগুণ পাবেন।

Loading

Leave a Reply