ভিডিও

ফুলশয্যার আগের রাতে স্বামীর মোবাইলে এল স্ত্রীর অন্য যুবকের সাথে উদ্দাম যৌনতার ভিডিও।

সবে বিয়ে হয়েছিল দিলীপ কার্ফার (নাম গোপন করা হল) ৷ স্ত্রীকে নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্নে বুক বাঁধছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী দিলীপ৷ কিন্তু একটি ফেসবুক মেসেজ এই তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

স্বামীর কথায়, ‘ কয়েকদিন আগে রাতে আমি ফেসবুক মেসেঞ্জারে সে তার স্ত্রীর একটি ছবি পান ৷ ছবিতে তিনি দেখেন, এক অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় উদ্দম যৌনতায় মশগুল তার স্ত্রী৷ ছবির সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বরও ছিল৷ সেই ব্যক্তি নিজেকে রমেশ নামে পরিচয় দিয়েছে৷ পরে জানতে পারি, রমেশের সঙ্গে তার স্ত্রীর ৭ বছরের বেশি সম্পর্ক ৷’

পরে সে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন৷ কী ঘটেছিল? বেঙ্গালুরুর সুব্রহ্মণ্যমনগরের বাসিন্দা দিলীপ৷ ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়৷ সনিয়া চিকমাগালুরের বাসিন্দা৷ গত বছর জুন মাসেই তাঁদের এনগেজমেন্ট হয় ৷ হতাশাগ্রস্থ হয়ে দিলীপ জানায়, এনগেজমেন্টের জন্য তিনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা৷ বিয়েতে ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা৷ ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ তাঁদের ফুলশয্যা ছিল ৷ তার আরও রমেশ ও সনিয়া শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছে তাঁদের বিয়ের কিছুদিন আগেও ৷ রমেশ ও সনিয়ার হোয়াটসঅ্যাপে সেক্সটিং-এর কিছু স্ক্রিনশটও আসে মোবাইলে৷ রমেশকে সনিয়া বলেছে, সনিয়া রমেশকেই ভালোবাসে৷ কিন্তু তার পরিবার সুমিতকে পছন্দ করে৷

গোটা বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আত্মহত্যার হুমকি দিতে শুরু করে যুবতী৷ যুবতীর হুমকি, স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার সুইসাইড নোট লিখে সে আত্মহত্যা করবে৷ সুব্রহ্মণ্যমনগর পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতেন মা-বাবা৷ তা লুকিয়েই নাকি দিলীপের সঙ্গে বিয়ে দেন ৷

Loading

Leave a Reply