বিশ্ব

পর্যটনশিল্পে ধ্বস।বন্ধ ৩৬০০ ঐতিহাসিক স্থান। ধ্বস নামবে ভারতের অর্থনীতিতে।।

বিশ্ব বাজারে ধ্বস নেমেছে করোনার কারনে। সেনসেক্স নিম্নমুখী। এবার ভারতবর্ষের অন্যতম অর্থনীতি, পর্যটন শিল্পে ভাঙ্গন দেখা গেল। ভ্রমণ পিপাসু ভারতীয়রা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করেন। কিন্তু সেই ভ্রমণে কোপ ফেলল করোনা। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এপ্রিলে বেসরকারি স্কুল গুলির পরীক্ষা শেষ হয়।

সে কারণে এই সময় বেশ কিছু পর্যটক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান। সেই মতো এপ্রিল মাসে প্রচুর টিকিট বুকং হয়েছিল, হোটেলও বুকিং হয়েছিল অনেক। কিন্তু তার মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ তাদের টিকিট ক্যানসেল করিয়েছেন, এবং হোটেল বুকিংও ক্যানসেল করিয়েছেন করোনার কারণে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা সমস্ত সৌধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লালকেল্লা, তাজমহল সহ ৩৬০০ ঐতিহাসিক স্থানে পর্যটকের প্রবেশের ছাড়পত্র মিলছে না। পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভারতবর্ষের অর্থনীতির বেশ কিছুটা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এই শিল্প বন্ধের কারণে ক্ষতির মুখে ভারতের অর্থনীতি। পুরি, উত্তরাখন্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটক খালি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কলকাতার বিভিন্ন স্থানে কেবলমাত্র ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান। ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দর গুলোতেও বিদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনকি ট্রেন এবং বিমান গুলি স্যানিটাইজারিন করা হচ্ছে।

কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঘরের বাইরে না বেরোনোর জন্য। পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত টুরিস্ট সংস্থাগুলি বলছে, গ্রীষ্মের ছুটিতে বছরের সবথেকে বেশি ইনকাম হয়। প্রচুর মানুষ ভ্রমনে বেড় হন। কিন্তু গ্রীষ্মের ছুটির সমস্ত টিকিট ক্যানসেল হয়ে গেছে। এখন আমাদের জীবিকা নির্বাহ করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। অপরদিকে বিভিন্ন জায়গার হোটেল মালিকরা জানান করোনার কারণে হোটেল বুকিং ক্যানসেল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত বিভিন্ন দোকানপাট মালিকদের মাথায় হাত। ভারতের অর্থনীতিতে এটি যে একটা বিরাট প্রভাব ফেলবে সেটা বলাই বাহুল্য।

Loading

Leave a Reply