রাজ্য

শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৫,মৃত ৩, ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

বাংলাতে করোনা খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবেনা বলে যারা মনে করছিলেন তারা সাতসকালেই হতাশ হতে পারেন।প্রতিদিনই একটি দু’টি তিনটি করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু গতকাল এক লাফে সংখ্যাটা ১৫ তে গিয়ে দাঁড়ায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। গতকাল রাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন।মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচে। ফলে ধীরে ধীরে বাংলাতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যু।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্ট হয়ে যায় আরও ১০ জনের শরীরের নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ। আলিপুরের চিকিৎসকের ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী- তিনজনের মিলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। শ্রীরামপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু-জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ।

এগরার এক ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। পাশাপাশি দমদম আইএলএস হাসপতালে ইতালির মিলান ফেরত এক প্রৌঢ়ার শরীরে মিলেছে করোনা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের শরীরেও মিলেছে করোনার সংক্রমণ। মল্লিকফটকের বাসিন্দা ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্য হয় গোরাবাড়ি আইএলএস হাসপাতালে। আর এনআরএসে মৃত্যু হয় ৬২ বছরের এক ব্যক্তির। দুজনের শরীরের কতরোনা ভাইরাস পজিটিভ মিলেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। মৃত্যু বেড়ে ৫। তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রোগমুক্তির পর। এখন ২৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। বাকি ২২ জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে সবথেকে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লিতে নিজামউদ্দিন এর জমায়েতে বাংলার থেকে বেশ কিছু মানুষ গিয়েছিলে। তারা কতটা সংক্রামক নিয়ে এসেছেন বা কতটা ছড়িয়েছেন তার চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। যদি এইখান থেকে মারাত্মক কিছু ঘটে তা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

Loading

Leave a Reply