দেশ

কোনও কর্মীর যেন চাকরি না যায়, বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

কোনও কর্মীর যেন চাকরি না যায়, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে ঘোষণার সময় বিভিন্ন সংস্থার প্রতি এমনটাই অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০ এপ্রিল থেকে নন হটস্পট এরিয়ায় শর্ত সাপেক্ষে যাতায়াতের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তৈরি হচ্ছে গাইডলাইন। এমনকী নতুন গাইডলাইনে অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এছাড়া হটস্পটগুলিতে কড়া নজরদারি রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের নিয়ম কোনওভাবে ভাঙা যাবে না। এবার কড়াভাবে তা মোকাবিলা করা হবে। লকডাউনের নিয়মাবলী নিয়ে কাল নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে। তবে, কৃষকদের স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বেশকিছু আলোচনা করেছে। আমরা তাঁদের পাশে আছি। ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওইদিন পর্যন্ত সকলকে লকডাউন মেনে চলতে হবে। দেশবাসীর কাছে আবেদন, কোনওভাবেই করোনা ভাইরাসকে আমারা ছড়াতে দেব না।



এটা আমাদের সংকল্প নিতে হবে। জাতির উদ্দেশে ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, পৃথীবীর বড় বড় দেশে যেভাবে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে। সেই তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ওইসব দেশে ভারতের তুলনায় ২৫-৩০ গুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কাজে এসেছে। দেশে একজন আক্রান্ত হওয়ার আগেই করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা কথাই উঠে এসেছে যে, লকডাউন বাড়ানো হোক। দেশবাসীও সেটাই চাইছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ অত্যন্ত কড়াভাবে লকডাউন পালন করা হবে। মোদি এদিন বলেন, করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়ার জন্য ডাক্তার, নার্স, সাফাই কর্মী সহ সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্যোগপতিরা কর্মীদের প্রতি সদয় হোন। কারও যেন চাকরি না যায় সেই দিকটা দেখুন। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি দুর্ব্যবহার না করার জন্য আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।



Loading

Leave a Reply