ঋদি হক, ঢাকা:- বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও লকডাউন চলছে। মানুষ যখন ঘরের বাইরে পা রাখতে আতঙ্কে কাঁপছে, সেসময় ঘরসংসার ফেলে জীবনের ঝুঁকি কাজ করে চলেছেন সংবাদকর্মীরা। জাতীয় যে কোন দুর্যোগে জীবনবাজি ছুটে চলেন তারা।একাত্তরে
বাংলাদেশের যুদ্ধটা ছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এবারের যুদ্ধ হচ্ছে পরিবার এবং সমাজকে সুরক্ষার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও মাঠে নেমে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ আজ দিশেহারা। তারপর সংবাদ সংগ্রহে নানা ছুটতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। এই নিদানকালে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় মিডিয়ার সাংবাদিকদের কল্যাণ পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সংস্থাটির তরফে মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক করোনায় ব্যক্তিগত সুরক্ষায় সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিলেন, পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইমক্যাব) এ সময়ে ইমক্যাবের সহ সভাপতি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাছে পিপিই হস্তান্তর করেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। এসময় কুদ্দুস আফ্রাদ হিন্দু মহাজোটকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই দুঃসময়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিগত সুরক্ষায় এসব পিপিই কাজ করবে। এতে সাংবাদিকরা আরও গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন।
তিনি করোনা প্রার্দুভাবের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী সহায়তায় আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের সাংবাদিকরা অরক্ষিত। এখন পর্যন্ত সরকার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরফে কোন সহায়তা প্রদান করা হয়নি। হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, বর্তমান মহা বিপর্যয়ে সাংবাদিকরা ঝুঁকি মধ্য দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের নিরাপত্তা আগে দরকার বলে আমরা মনে করছি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ছুটে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে, আক্রান্তদের বাড়িতে। এরই মধ্যে একাধিক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে গোবিন্দ বাবু বলেন, নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সাংবাদিকরা যেন তাদের দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেন,তার জন্য হিন্দুমহাজোটের তরফে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এ সময় ইমক্যাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ, কোষাধ্যক্ষ মাছুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আফরোজ জামান, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আবু আলী এবং হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব সুমন দে উপস্থিত ছিলেন।