রাজ্য

প্রবল ঝড়ের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে চমকে দেওয়ার মতো নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একদিকে করোনা অন্যদিকে আমফান মোকাবিলায় তটস্থ রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই প্রবল বেগে স্থলভাগের ওপর আছড়ে পড়ছে আমফান। আছড়ে পড়ার পর থেকেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে উপকূলবর্তী এলাকায়। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলাতে শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়, সাথে বৃষ্টিপাত। সমুদ্রে শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছাস।কয়েক লক্ষ মানুষকে প্রশাসন নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে গেলেও রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাটির বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। সবথেকে আশঙ্কার কথা হলো বুধবার অর্থাৎ আজই আমফানের তাণ্ডব শেষ হয়ে যাবে এমনটা নয়।

আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় তাণ্ডব চালাতে পারে। তাই ঝড়ের গতিবেগ একটু কমলে বাড়ির বাইরে বেড় হওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। যেকোনো মুহূর্তে আবার প্রবল বেগে আসতে পারে ঝড় সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিপাত। আগামীকাল দুপুরের পর মালদা, মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশের দিকে এই ঝড় বেরিয়ে যাবে বলেই এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়সড় ঘোষণা করলেন। তিনি জানান যেখানে যেখানে উমফানের তীব্রতা বেশি হতে পারে, সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ যেন ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
নবান্নের কর্তারা বলছেন, বিদ্যুতের পোল উপড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বহু স্থানে। তা ছাড়া কলকাতা ও শহরতলিতে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়তে পারে। সেই কারণেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নবান্নের কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগাযোগ করছেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে। এদিন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে এমন সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে। তবে হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রগুলি যাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন না হয় তাও দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Loading

Leave a Reply